১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

বাসে গ্যাস নেয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নিহত ৩

বাসে গ্যাস নেয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নিহত ৩ - নয়া দিগন্ত

লক্ষ্মীপুরে একটি বাসে গ্যাস নেয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার ভোরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জয়নাল আবেদিন ও লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে পৌর শহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকায় ঢাকা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত গ্রিন লাইফ ফিলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজিবপুর গ্রামের সিরাজের ছেলে মো: হৃদয় (১৯), একই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য বাঞ্চানগর গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে মো: ইউসুফ (৩২) এবং সদর উপজেলার চরমনসা গ্রামের বটু মিয়ার ছেলে সুজন (২৫)।


এদিকে, আহতরা হলেন মো: রকি, মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেন, সিরাজ মিয়া, মো: হৃদয়, মো: সুমন, শান্ত খান ও আবদুল মালেকসহ কমপক্ষে আরো ২০ জন। এর মধ্যে ১০ জনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


গ্রিন লাইফ ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মো: আল-আমিন বলেন, ‘নিহত তিনজনই সিএনজিচালিত অটো-রিকশাচালক। আহতরাও অটোরিকশায় গ্যাস নেয়ার জন্য পাম্পে অপেক্ষারত ছিলেন। আহতদের মধ্যে বাসচালক ও তার সহকারীও রয়েছেন।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত পৌনে ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতিগামী মেঘনা পরিবহন নামে একটি বাস গ্যাস নিতে গ্রীনলাইফ ফিলিং স্টেশনে আসে। বাসে গ্যাস দেয়ার সময় হঠাৎ বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে চারদিকে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেলে স্টেশনে থাকা অটোরিকশা চালকেরা ছোটাছুটি শুরু করে। এ সময় ঘটনাস্থলে সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন চালক মারা যায়। আহত হয় আরো ২০ জন। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত তিনজনের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার বলেন, ‘বাসের গ্যাস সিলিন্ডারটি নিম্নমানের ছিল। এতে গ্যাস নেয়ার সময় সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়।’

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তাদের আমরা চিকিৎসা দেয়ার সুযোগ পাইনি। আহত আছেন কমপক্ষে ২০ জন। এর মধ্যে ১০ জনেরই কারো হাত, কারো পা নেই। এছাড়া অন্যরা ‍বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছেন। আমরা বেশিরভাগ রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement