মিরসরাইয়ে ২২ দিন সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে
- এম মাঈন উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
- ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২১:৫১
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ইলিশসহ সব ধরনের মৎস্য আহরণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) থেকে আগামী রোববার (৩ নভেম্বর) পর্যন্ত দেশের সব নদ-নদী ও সাগরে জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা।
বিশেষ করে মা ইলিশ রক্ষা ও নিরাপদ প্রজননের লক্ষে প্রতিবছর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মাছ বন্ধ থাকাকালীন ১৫ হাজার জেলে পরিবারেরর মাঝে সরকারিভাবে ২৫ কেজি করে চাউল প্রদান করা হবে। যদিও এ উপজেলায় দুই হাাজর ৬০০ নিবন্ধিত জেলে রয়েছে।
নিষিদ্ধ এই সময়ের মধ্যে ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
নিষেধাজ্ঞা সফলভাবে বাস্তবায়নে সাগরে উপজেলা মৎস্য বিভাগ, পুলিশ, কোস্টগার্ড কঠোর নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে মৌসুমের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১০ বার দুর্যোগের কবলে পড়ে এবং মাঝখানে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় সাগরে ঠিক মতো জাল ফেলতে না পারায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ আহরণ করতে পারেননি জেলেরা। ফলে বেশীর ভাগ জেলে লোকসানে রয়েছেন।
লোকসানে পড়ে অনেকেই তাদের এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা গুটিয়ে ফেলছেন। তারা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা এবং ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের সরকারি প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন মৎস্য সংশ্লিষ্টরা।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে সাগর থেকে ইলিশ আহরণ করে ডোমখালী ঘাটে ফেরেন সম্ভু জলদাশ। তিনি জানান, এই ট্রিপে তারা ২৩ কেজি ইলিশ পেয়েছেন।
কিন্তু মাছের সাইজ (আকার) ছোট। তাদের নৌকায় চারজন জেলে ছিল। মাছের দাম ভালো পেলে হয়তো খরচ উঠতে পারে।
আরেক জেল হারাধন জলদাশ জানান, এ বছর বার বার দুর্যোগে তারা সাগরে ঠিকমতো জাল ফেলতে পারেননি। তাই সারা বছরই অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে।
আরেজ জেলে বিকাশ জলদাশ জানান, এক সময় তার চারটি ইঞ্জিনচালিত মাছ ধরার নৌকা সাগরে যেত। লোকসান গুণতে গুণতে সব কিছু হারিয়েছেন। এখন একটি নৌকা রয়েছে। এ বছর একদিকে যেমনি দুর্যোগ, অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা আর সাগরে আগেরমতো মাছ না পড়ছে না।
মিরসরাই জেলে সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হরিশংকর জলদাশ বলেন, দুর্যোগ আর নিষেধাজ্ঞায় আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। ছয় মাসের ইলিশ মৌসুমের তিন মাসই থাকে নিষেধাজ্ঞা। বাকি তিন মাস যায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে। যে কারণে সাগরে জাল ফেলতে না ফেলতেই কূলে ফিরতে হয় জেলেদের। এছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠায় মাছ অনেক কমে গেছে।
মিরসরাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ বলেন, ইলিশের প্রজনন ও মা ইলিশ রক্ষার জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে ব্যপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছি। বৃহস্পতিবার ডোমখালী ও সাহেরখালী জলদাশ পাড়ায় অবহিতকরণ সভা করেছি।
তিনি আরো বলেন, সাগরে মৎস্য বিভাগ, পুলিশ, কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত থাকবে। নিষিদ্ধ এই সময়ে আইন অমান্য করে কেউ ইলিশ আহরণ, মজুদ, পরিবহন বা বিক্রি করলে বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় এক হাজর ৫০০ জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি করে চাউল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তা বিতরণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা