আ’লীগ সাবেক এমপি ইউসুফের বিরুদ্ধে মামলা
- নাজিম উদ্দিন, মুরাদনগর (কুমিল্লা)
- ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:০১
কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টা ও মৎস্য খামার থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী ও অ্যাডভোকেট মহসীন মিয়া এ দু’টি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরো ১৫ জনকে এজাহার নামীয় আসামি করা হয়।
মামলার বাদি আলমগীর হোসেন মুরাদনগর সদরের নায়েব আলীর ছেলে এবং অ্যাডভোকেট মহসীন মিয়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা দড়িকান্দি গ্রামের মরহুম আবদুল মালেকের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মোহাম্মদীয়া ইলেকট্রনিক্সের মালিক ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন তার দোকানে অবস্থানকালে সাবেক এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের নির্দেশে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ৪০ থেকে ৪৫ জন নেতাকর্মী ও সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার দোকানে এসে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে এবং বেধরক পিটিয়ে মাথা, হাত, পায়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় দোকানের ক্যাশে থাকা তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এই মামলায় সাবেক এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, মুরাদনগর সদরের হেলাল উদ্দিন, শামীম, হাসান মিয়াসহ ১৫ জনকে এজাহার নামীয় ছাড়াও ৪৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
চাঁদাবাজি মামলার বাদি অ্যাডভোকেট মহসীন বলেন, ২০১৯ সালে মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের দড়িকান্দি বিলে কৃষকদের থেকে ৩০০ কানি জমি ১২ বছরের জন্য খাজনাদির শর্তে মোল্লা ফিসারিজ নামে মাছের প্রজেক্ট গড়ে তুলি। এই প্রজেক্টে মাছ চাষ করার জন্য দাউদকান্দি উপজেলার বারপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের নিকট ১৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা বাৎসরিক হিসেবে ভাড়া প্রদান করি। প্রজেক্টে মাছ চাষের পর ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মিজানুর রহমান যখন মাছ ধরতে আসেন তখন সাবেক এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের নির্দেশে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার খামার গ্রামের রফিকুল ইসলাম (টিয়া রফিকের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী এসে মোল্লা ফিসারিজ প্রজেক্টে মাছ ধরা বন্ধ করে দেয় এবং ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাদাঁ না দিলে প্রজেক্টের মাছ ধরতে দিবে না বলে হুমকি প্রদান করে। এ সময় বাধ্য হয়ে প্রজেক্টের এক বছরের ভাড়ার ১৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা রুপালী ব্যাংকের একটি হিসাব নম্বর থেকে সাবেক এমপির উপস্থিতিতে চেকের মাধ্যমে রফিকুল ইসলাম নিয়ে নেয়।
এই মামলায় এজাহার নামীয় দুইজনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক বলেন, হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে থানায় দু’টি মামলা হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা