২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

৭ দিনেও উদ্ধার হননি অধ্যক্ষ আরিফ, পরিবারে উৎকণ্ঠা

কক্সবাজারের পেকুয়া থেকে অপহৃত শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফ - ছবি : নয়া দিগন্ত

কক্সবাজারের পেকুয়ায় একটি বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আরিফকে (৪৬) অপহরণের পর তার মুক্তিপণের জন্য স্বজনদের কাছে ফোন করে ৪০ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। এরপর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আরিফের মোবাইল। এ অপহরণের ৭ দিনেও অধ্যক্ষ আরিফ উদ্ধার না হওয়ায় উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তার পরিবার।

২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় আট থেকে নয়জন অস্ত্রধারী তাকে অপহরণ করে।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, শিক্ষক আরিফ নিখোঁজ থাকার পর মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিক্ষককে উদ্ধারে প্রযুক্তির ব্যবহারসহ বিভিন্ন সংস্থা মাঠে রয়েছে।

মোহাম্মদ আরিফ পেকুয়া সদর ইউনিয়নের আন্নান আলী মাতবরপাড়ার বজলুল করিমের ছেলে।

অপহৃত মোহাম্মদ আরিফের স্ত্রী মেহেবুবা আনোয়ার লাইজু বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে আমার স্বামীর মোবাইল নম্বর থেকে আমার শ্বাশুড়িকে ফোন করে অপহরণের বিষয়টি জানানো হয়। রাত ২টার দিকে আবার আমাকে ফোন করে অপহরণকারীরা। ওই প্রান্ত থেকে আমাদেরকে চট্টগ্রাম নগরের ফ্রি-পোর্ট এলাকায় গিয়ে আমার স্বামীকে নিয়ে আসতে বলা হয়। পরদিন সকালে আমরা ফ্রি-পোর্ট এলাকায় যাই। তখন আমার স্বামীর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তিনি আরো বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে আমার মোবাইলে কল দিয়ে মুক্তিপণ বাবদ ৪০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।

মোহাম্মদ আরিফের স্ত্রী বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে অপহরণকারীরা আমাকে চট্টগ্রাম নগরের নতুন ব্রিজ এলাকার পুলিশ বক্সের সামনে যেতে বলে এবং ঘটনা পুলিশ বা র‍্যাবকে না জানাতে বলে। অন্যথায় আমার স্বামীর লাশ পাওয়া যাবে বলে হুমকি দেন।

তিনি জানান, ৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অপহরণকারীরা মোবাইলে কল করে মুক্তিপণের ৪০ লাখ টাকা পুনরায় দাবি করলে আমি ভয় পেয়ে স্বামীকে বাঁচাতে নগদ পেমেন্টের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা তাদের কাছে পাঠাই। এরপর থেকে আমাদের সাথে অপহরণকারীরা যোগাযোগ বন্ধ রাখে।

এ ঘটনায় ১ অক্টোবর পেকুয়া থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে অপহরণ মামলা করা হয়েছে। ভুক্তভোগী আরিফের ভাই মোহাম্মদ রিয়াদুল ইসলাম মামলা করেন।

মোহাম্মদ রিয়াদুল ইসলাম বলেন, আমাদের পরিবারের সাথে প্রতিবেশী নাছির উদ্দিনের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে স্থানীয়ভাবে একটি সালিস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন রাত সাড়ে ৯টায় পেকুয়া উপজেলা সদরের ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে থেকে অজ্ঞাত আট থেকে নয়জন অস্ত্রধারী আমার ভাইকে জোর করে গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

মোহাম্মদ আরিফের স্ত্রী মেহবুবা আনোয়ার স্বামীর এ পরিস্থিতিতে চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন জানিয়ে বলেন, আজ অপহরণের ৭ দিন পার হয়ে গেলেও এখনো আমার স্বামীর কোনো খোঁজ পাইনি। আমার ছোট ছোট তিনটি ছেলে মেয়ে প্রতিনিয়ত বাবা বাবা বলে কান্না করছে। পরিবারের সবাই দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠায় দিন পার করছে। যেকোনো মূল্যে আমার স্বামীকে ফেরত চাই। এজন্য সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

কী কারণে অপহরণ করা হয়েছে এখনো জানা যায়নি উল্লেখ করে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল মোস্তফা বলেন, আমরা আপাতত ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে বিএনপির কোনো মতপার্থক্য নেই : তারেক রহমান পার্থে ইতিহাস গড়ল ভারত, পাত্তাই পায়নি অস্ট্রেলিয়া দেশের শ্রমখাতে নতুন করে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে : শ্রম সচিব সুদমুক্ত ঋণের প্রলোভনে ঢাকায় সমাবেশের চেষ্টা : লক্ষ্মীপুরে আটক ১১ নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশের পর রাজশাহী টিটিসির অধ্যক্ষ বদলি সাবেক কৃষিমন্ত্রী শহীদকে মৌলভীবাজার কারাগারে স্থানান্তর সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের ৫ আগস্টের বিপ্লবই ইসলামী বিপ্লবের পূর্বাভাস : মামুনুল হক হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধবিরতি করতে পারে ইসরাইল অটোরিকশা চলবে : হাইকোর্টের আদেশে স্থিতাবস্থা অযৌক্তিক কারণে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে প্রতিরোধ করা হবে : সারজিস

সকল