আত্মগোপনে চকরিয়া-পেকুয়ার সাবেক এমপি ও তার অনুসারীরা
- এ এম ওমর আলী, চকরিয়া উপকূল (কক্সবাজার)
- ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:২৯
গত ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কক্সবাজারের-(১) চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম ও তার অনুসারী প্রায় নেতা এখনো আত্মগোপনে রয়েছেন। আত্মগোপনে যাওয়া সব নেতা সাবেক এমপি জাফরের অন্যতম সহযোগী বলে প্রচার রয়েছে।
এসব নেতারা হলেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি জাফর আলম, তারই সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, তারই সাধারণ সম্পাদক আলমগীর, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাইছার উদ্দিন কচির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, বিএমচর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউল আলম, কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান দিদার সিকদার, ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর, হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মেহেরাজউদ্দিন মিরাজ ও সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোসেন চৌধুরী, বরইতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল প্রকাশ কালা নজরুল।
এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নের জাফর আলমের অনুসারীরাও রয়েছেন আত্মগোপনে। যারা ছিল এলাকার ত্রাস, সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী।
চকরিয়া উপজেলা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা জানায়, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সাবেক এমপি জাফর আলমের নেতৃত্বে করা হামলায় বিএনপির সাত নেতাকর্মী নিহত হয়েছে চকরিয়ায়। এসব নেতাকর্মীর পরিবারগুলো থানায় গিয়ে মামলাও করতে পারেনি, বরং এসব ঘটনায় উল্টা বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। তবে সকল মামলাই জাফরের নির্দেশে হয়েছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ। সর্বশেষ গত বছরের ১৬ আগস্ট আল্লামা দেলোয়ার হোছাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজায় উপস্থিত মানুষের ওপর গুলি করে জাফর আলম। এতে জামায়াতকর্মী ফোরকানুল ইসলাম নিহত হন।
চকরিয়া থানার ওই সময়কার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ মাহমুদ জানান, ফোরকানুর ইসলাম পুলিশের গুলিতে নিহত হয়নি, দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছে। পরে এমপি জাফরের চাপে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে স্বৈরশাসক পতনের এক মাস পার হলেও গত ১৫ বছর ধরে যারা চকরিয়া-পেকুয়ায় খুন, লুটপাট ও ত্রাস চালিয়েছে তাদের গ্রেফতারে কোনো অভিযান পরিচালিত হয়নি।
তবে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুন কাদের ভূঁইয়া জানান, খুনি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও চিহ্নিত অস্ত্রধারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা