২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পালিয়ে যাওয়া সেই যুবলীগ নেতা ফের গ্রেফতার

পালিয়ে যাওয়া সেই যুবলীগ নেতা ফের গ্রেফতার - ছবি : নয়া দিগন্ত

জনতার হাতে আটকের পর পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া সেই যুবলীগ নেতা সাইফুলকে বাঁশখালী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোররাত ৪টার দিকে বাঁশখালীর বাহারছড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে লোহাগাড়া থানা পুলিশের একটি দল।

এই যুবলীগ নেতাকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রাশেদুল ইসলামসহ চারজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল দুই সপ্তাহ আগে।

লোহাগাড়া থানার ওসি আরিফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জামাল হোসেন বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঁশখালীর বাহারছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাইফুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। এই আসামিকে আদালতে হস্তান্তর করা হবে। সে তার বোনের শ্বশুর বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল।’

এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজত থেকে সাইফুল ইসলাম পালিয়ে যান। ওইদিন ভোরে লোহাগাড়ার কলাউজান বাংলাবাজার হতে ধাওয়া দিয়ে যুবলীগ নেতা ও পুলিশের সোর্স সাইফুল ইসলাম সজীবকে আটক করে জনতা। পরে সকাল ৮টার দিকে তাকে লোহাগাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। ওই আসামিকে সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর আশ্বাস দেয় পুলিশ। কিন্তু জনতা থানা থেকে সরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই ওই আসামিকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর স্থানীয়রা ফের থানা এলাকায় জড়ো হয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করেন। ওসিসহ জড়িতদের প্রত্যাহারের দাবিও জানান তারা। এরপর ওসি, ডিউটি অফিসার ও সেন্ট্রি ডিউটিতে নিয়োজিত কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়।

স্থানীয়রা তখন জানান, সাইফুল ইসলাম সজীবকে আটক করার পর ক্ষুব্ধ জনতা তাকে মারধর করেন। এতে সজিব পায়ে আঘাত পান। এর ফলে তার পালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পুলিশ হয়ত থানার পেছন দিক দিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছেন, না হয় নিজেদের গাড়িতে পালানোর সুযোগ দিয়েছে। কেননা সজিব এতদিন পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন।

যুবলীগ নেতা সাইফুলের বিরুদ্ধে থানায় গরু চুরি, চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। এলাকায় চাঁদাবাজি, অত্যাচার নিপীড়নসহ নানা অভিযোগ থাকা সজিবকে স্থানীয়রা অনেকদিন ধরে খোঁজাখুঁজি করছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement