বান্দরবানে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দ আল শারকীয়ার ৩২ জনের জামিন
- বান্দরবান সংবাদদাতা
- ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:০৮, আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:২৩
বান্দরবানে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দ আল শারকীয়ার ৩২ সদস্যকে জামিন দিয়েছে জেলা দায়রা জজ আদালত। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ মো: মোসলে উদ্দিন জামিন মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আস্তানায় প্রশিক্ষণ নেয়া ও জঙ্গি তৎপরতা চালানোর অভিযোগে গত বছর তাদেরকে বান্দরবানের বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক করেছিল র্যাব ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। কেএনএফের সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শুরু হলে র্যাব অভিযান চালিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক করে। মোট চারটি মামলায় আটক দেখানো ৩২ জনকে জামিন দেয়া হয়। এদের মধ্যে বান্দরবানের থানচি থেকে ২১ জন, রুমা থেকে চারজন, নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে দু’জন ও বান্দরবান সদর থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়।
আটক হওয়াদের মধ্যে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার প্রশিক্ষণ ও অর্থ শাখার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও ছিল বলে জানায় র্যাব।
জামিন পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের মাসকুর রহমান, কুমিল্লার সালেহ আহমদ, সিলেটের সাদিকুর রহমান, কুমিল্লার বাইজিদ ইসলাম, নোয়াখালীর নিজামুদ্দিন হিরন, মাদারীপুরের আবুল বসর, সিলেটের তাহিয়াত চৌধুরী, কুমিল্লার দিদার হোসেন মাসুম, নারায়ণগঞ্জের আল-আমিন সরদার, কুমিল্লার মো: ইমরান হোসেন, কুমিল্লার মো: আসসামি রহমান, গাইবান্ধার মো: শামীম মাহফুজ, কুমিল্লার মো: আনিসুর রহমান, কুমিল্লার আহাদুল ইসলাম মজুমদার, চট্টগ্রামের মো: ইমরান হোসেন, কুমিল্লার দিদার হোসেন মাসুম, চট্টগ্রামের আবু হুরায়রা, কুমিল্লার মো: জহিরুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের ইলিয়াস হোসেন, বরগুনার সোহেল মোল্লা, মুন্সীগঞ্জের রিয়াজ শেখ, পটুয়াখালীর মো: শামীম হোসেন, পটুয়াখালীর জুয়েল মুসল্লী, বরিশালের মাহমুদ ডাকুয়া, পটুয়াখালীর ওবায়দুল্লাহ, বরিশালের আব্দুস সালাম, পটুয়াখালীর মো: আল আমিন ফকির, পটুয়াখালীর মিরাজ শিকদার, কুমিল্লার মো: সাখাওয়াত হোসেন, ঝালকাঠির মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
আসামি পক্ষের উকিল অ্যাডভোকেট মো: আলমগীর চৌধুরী জানান, বিনা অপরাধে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের আটক করে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে গ্রেফতার করা হয়। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাদেরকে হয়রানি করার উদ্দেশে আটক করে জঙ্গির তকমা লাগায়। তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় আদালত তাদের জামিন দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বান্দরবানে সশস্ত্র সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) তৎপরতা শুরু করে। পরে তাদের আস্তানায় অর্থের বিনিময়ে প্রশিক্ষণ নেয় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার সদস্যরা।
সরকার পক্ষের উকিল অ্যাডভোকেট ইকবাল করিম জানিয়েছেন, আটক হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। এমনকি তাদের প্রশিক্ষণের ভিডিও মোবাইল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কেএনএফের কাছে অর্থের বিনিময়ে তারা প্রশিক্ষণ নেয়ার প্রমাণ রয়েছে। তাদেরকে জামিন না দেয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা