ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বামী হত্যা : স্ত্রীর যাবজ্জীবন, ভায়রার মৃত্যুদণ্ড
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:১৬
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পরকীয়ার জেরে বাচ্চু মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় তার ভায়রাকে মৃত্যুদণ্ড ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দায়রা জজ শারমীন নিগার এই রায় প্রদান করেন।
দণ্ডিতরা হলেন জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাড়াইলচর গ্রামের তুজু মিয়া মোল্লার ছেলে রফিকুল ইসলাম ও বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগম। এদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে জেল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত স্ত্রী রিনা বেগমকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে ১১ অক্টোবর বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বড়াইলচর গ্রামের হারিছ মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়ার লাশ খল্লা গ্রামের একটি কলাবাগানে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বাচ্চু মিয়ার ভাই আলমগীর মিয়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে বাঞ্ছারামপুর থানায় মামলা করেন।
প্রথমে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ ও পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলার তদন্ত করে। তদন্ত শেষে আদালতে করা অভিযোগপত্রে রফিকুল ইসলাম এই হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, রিনা বেগমের সাথে তার খালাত বোনের স্বামী রফিকুলের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। সে সময় রিনা বেগমকে বিয়ের প্রস্তাব দেন রফিকুল। তখন রিনা বেগম জানান, বাচ্চু মিয়াকে হত্যা করতে পারলে রফিকুল বিয়ে করবেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাচ্চু মিয়াকে একটি মোটরসাইকেলে করে নির্জন স্থানে নিয়ে যান রফিকুল। এরপর প্রথমে গলায় গামছা পেঁচিয়ে এবং পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করেন। ঘটনার পর অন্যদের মতো রফিকুলও বাচ্চু মিয়াকে খুঁজতে থাকেন।
পরে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো: দিদারুল আলম জানান, যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত রিনা বেগমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি রফিকুল ইসলাম পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা