কুমিল্লা-১০ বিনির্মাণে আমাদেরকে কাজ করতে হবে : ইয়াছিন আরাফাত
- সাইফুল ইসলাম, নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা)
- ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:২১
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মুজলিশে শূরা সদস্য ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, সুন্দর কুমিল্লা-১০ বিনির্মাণে আমাদেরকে কাঁধে-কাঁধ মিলেয়ে কাজ করতে হবে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বাঙ্গড্ডা ফাজিল মাদরাসা মাঠে সিরাতুন্নবী সা: মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আল্লাহ বলেছেন, বিজয় এবং প্রশান্তি যখন আসে; তখন তোমরা তোমাদের রবের নামে তসবীহ পড় এবং প্রশংসা কর। বিজয় এবং স্বাধীনতা অর্জন সহজ হলেও এটাকে রক্ষা করা কঠিন। আগামীতে কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট, লালমাই ও সদরদক্ষিণ) সংসদীয় আসনের সুখ-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হলে আলেম, ওলামা, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সাধারণ জনগণ সবাই মিলে সুন্দর কুমিল্লা-১০ বি-নির্মাণে আমাদেরকে কাঁধে-কাঁধ মিলেয়ে কাজ করতে হবে। আমাদেরকে শান্তি, অধিকার, ইনসাফ ও ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাসুল সা:-এর আদর্শের আলোকে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বর্তমানে নতুন পরিবেশে আমরা যেন শান্তিতে থাকতে পারি। এজন্য আল্লাহর দ্বীন কায়েম করতে হবে।
বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী আমির দেলোয়ার হোসেন আজমীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নাঙ্গলকোট উপজেলা জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আলী, বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি মাস্টার মোসাদ্দেক হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা বদিউল আলম, বাঙ্গড্ডা ইকরা মডেল স্কুল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ব্যাংকার মামুনুর রশিদ ও কবি আফজাল হোসেন মিয়াজী প্রমুখ।
তিনি আরো বলেন, গত ১৬-১৭ বছর আমরা আওয়ামী লীগের জুলুম-নির্যাতন এবং মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। আওয়ামী লীগ ঘরে ঘরে চাকরি দেয়ার কথা বললেও তারা ঘরে ঘরে লাশ উপহার দিয়েছে। তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় স্বাধীনতা ও স্বার্বভোমত্বের কথা বললেও তারা মানুষের স্বাধীনতা খর্ব করেছে। কিন্তু এ জালিমেরা আজ কোথায়? সাতক্ষীরায় একজন ইমাম মসজিদে দাঁড়িয়ে মাদকের কথা বলেছিল। কিন্তু সরকারী বাহিনী সে ইমামের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে এবং সে ইমামকে গ্রেফতার করেছে। আমরা সারাদেশে যেখানে কোরআনের মাহফিলের ঘোষণা দিয়েছি। সেখানে সরকারি বাহিনী ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। কোরআন, মসজিদ, মাদরাসা যেখানে আওয়ামী লীগ সেখানে বাধা দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর অনেক নেতার ফাঁসি হয়েছে। এত জুলুম, নির্যাতনের পরও জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির টিকে আছে। তাদেরকে ধমিয়ে রাখা যায়নি। এখনো সব জায়গায় বৈষম্য রয়েছে। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সোচ্চার হতে হবে। আগামীতে কোনো দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ এবং টেন্ডারবাজকে নির্বাচিত করা যাবে না। পরে সিরাতুন্নবী সা: উপলক্ষে বাঙ্গড্ডা সাংস্কৃতিক সংসদের আয়োজনে ও পরিকোট স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েমনের বাস্তবায়নে নাতে রাসূল সা: সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।
নাতে রাসুল পরিবেশন করেন, কুমিল্লা প্লাবন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ ও নোয়াখালী কাণ্ডারী শিল্পীগোষ্ঠী।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা