২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বান্দরবানে পাহাড়ি-বাঙালি নেতৃবৃন্দের শান্তি আলোচনা

বান্দরবানের শান্তি-সম্প্রীতির আলোচনায় বক্তব্য রাখছেন জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন - ছবি : নয়া দিগন্ত

পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের জের ধরে তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি যখন উত্তপ্ত তখন অপর জেলা বান্দরবানের পরিবেশ শান্ত। এখানে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে হয়েছে শান্তি ও সম্প্রীতির সমাবেশ।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জরুরি শান্তি-সম্প্রীতির বৈঠক আয়োজন করা হয়। এতে পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রদায় ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী মজিবর রহমান, পাহাড়ি সম্প্রদায়ের নেতা অংচমং মারমা, নারী নেত্রী ডনাইপ্রু নেলী, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের নেতা নাসিরুল আলম, চনুমং মারমা, অ্যাডভোকেট উবাথোয়াই মারমা প্রমুখ।

সভায় পাহাড়ি-বাঙালি নেতৃবৃন্দ বলেন, অপর দুই পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়িতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও বান্দরবান শান্তি ও সম্প্রীতির জায়গা। এখানে পাহাড়ি-বাঙালি ১২টি সম্প্রদায় দীর্ঘকাল ধরে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে বসবাস করে আসছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম জেলা বান্দরবান। এখানে যাতে কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সবাই একসাথে কাজ করব।

জেলা প্রশাসক বান্দরবানের শান্তি সম্প্রীতি রক্ষায় ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে যেকোনো ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, খাগড়াছড়িতে হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের রাজার মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শহীদ আবু সাঈদ মুক্তমঞ্চ চত্বরে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জন ত্রিপুরা, বিটন তঞ্চঙ্গ্যা, অংশৈখিং মারমা, টনয়া ম্রো প্রমুখ।

বক্তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। প্রয়োজনে ঢাকায় লংমার্চ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement