১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

রূপপুর নিয়ে মস্কো ঢাকা সম্পর্ক নষ্টের চেষ্টা হচ্ছে : দূতাবাসের অভিযোগ

-


রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করে মস্কো-ঢাকা সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়ার দূতাবাস।
গতকাল দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে দুর্নীতিবিষয়ক কিছু বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য বাংলাদেশের মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে। এই ভিত্তিহীন তথ্যগুলো খণ্ডনের জন্য রাশিয়ার রোসাটম স্টেট করপোরেশন ইতোমধ্যে দু’টি প্রেস রিলিজ ইস্যু করেছে। এই বিষয়ে আরো অযৌক্তিক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাতে রাশিয়ান রফতানি ঋণ (স্টেট এক্সপোর্ট ক্রেডিট) ব্যবহারের পদ্ধতি এবং রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ইতোমধ্যে ব্যয় করা অর্থের পরিমাণ স্পষ্ট করা প্রয়োজন বলে মনে করছে দূতাবাস।

এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে রাশিয়ার দেয়া এক হাজার ১৯০ কোটি ডলার পরিমাণের রাষ্ট্রীয় রফতানি ঋণ থেকে মোট ৭৮০ কোটি ডলার ব্যবহৃত করা হয়েছে। ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম চুক্তির অধীনে ব্যবহৃত হয়েছে ৪৯ দশমিক ১৩ কোটি ডলার। চুক্তি অনুযায়ী এই ঋণের মোট পরিমাণ ৫০ কোটি ডলার এবং এর ব্যবহারের মেয়াদ ২০১৭ সালে শেষ হয়েছে। আর ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই দ্বিতীয় চুক্তির অধীনে এ পর্যন্ত ৭৩৩ কোটি ১৮ লাখ ডলার ব্যবহৃত হয়েছে। দ্বিতীয় ঋণের পরিমাণ এক হাজার ১৩৮ কোটি ডলার, যা থেকে এখন পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ ব্যবহৃত হয়েছে। এই ঋণের ব্যবহারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর।

বিবৃতিতে বলা হয়, রূপপুর প্রকল্পে দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে না। রাশিয়ান ফেডারেশনের আইন অনুযায়ী কোনো রাষ্ট্রীয় রফতানি ঋণের অর্থ সার্বভৌম ঋণগ্রহীতার কাছে সরাসরি স্থানান্তর করা হয় না। রফতানি চুক্তির অধীনে বিদেশী গ্রাহককে দেয়া যেকোনো পণ্য, কাজ বা পরিষেবাগুলোর অর্থায়ন রাশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় রুবেলে (রাশিয়ার মুদ্রা) রাশিয়ার রফতানিকারক সংস্থাকে সরাসরি দিয়ে থাকে। রাশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে দেয়া নথি অনুযায়ী এই লেনদেনগুলো সম্পন্ন করা হয়। এতে বলা হয়, আমরা বিশ্বাস করি, যারা রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে দুর্নীতিবিষয়ক ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে উচ্চাভিলাষী এই প্রকল্পটিকে কলঙ্কিত করতে এবং মস্কো ও ঢাকার মধ্যে স্থিতিশীল এবং পারস্পরিক উপকারী সম্পর্ককে নষ্ট করতে চেষ্টা করছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement