২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সূচক বাড়লেও বিক্রেতার সঙ্কট পুঁজিবাজারে

বিক্রেতা মাত্র ২৯ শতাংশ
-


দেশের দুই পুঁজিবাজারে সূচক এবং ৬৩.৩৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কিন্তু কমেছে শেয়ার বেচাকেনা। বিক্রেতার একটা সঙ্কট অনেক দিন ধরেই চলছে। ডিএসইতে ২৯ শতাংশ বিক্রেতার বিপরীতে দ্বিগুণের বেশি বা ৭১ শতাংশ হলো ক্রেতার চাপ। আরো মুনাফার জন্য বিক্রেতারা শেয়ার বিক্রি করতে চাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন। ডিএসইতে ৬৩.৩৮ শতাংশ এবং সিএসইতে ৬৩.৩৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। তবে শেয়ার বেচাকেনায় টাকা ও শেয়ারের পরিমাণ গত বৃস্পতিবারের তুলনায় কমেছে।

দিনের লেনদেনের তথ্য থেকে বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল লেনদেনের ক্ষেত্রে সূচকের পথে ছিল উত্থান পতনের গতি। তারপরও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর দুই বাজারেই বেড়েছে। লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা অর্থাৎ বেলা ১১.৩০টা পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ৩১ দশমিক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৮৩৫ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ ৬ দশমিক শূন্য পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৪৭ পয়েন্টে আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৩ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১২৮ পয়েন্টে। ওই সময়ে ডিএসইতে মোট ৩২৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৭৯টির, কমেছে ৬৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮ কোম্পানির শেয়ার দর। ডিএসইতে প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টায় ৪২০ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়। যেখানে শেয়ারের সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৪টি। আর ২২৭টি কোম্পানি তখন দর বৃদ্ধিতে ছিল। দিন শেষে ডিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ২৪.৯৫ পয়েন্ট, শরিয়াহ সূচক ৪.২৯ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪.১৩ পয়েন্ট ফিরে পেয়েছে। ২৫ কোটি ৪২ হাজার ২১টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে মোট ৯৩৩ কোটি ৬৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা গতকালের বাজারমূল্যে। যা গত বৃস্পতিবারের তুলনায় ৩০ কোটি টাকা এবং ৮১ লাখ শেয়ার কম। সে তুলনায় লেনদেনের পরিমাণ ৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ কমেছে। ৩৯০টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিলেও দর বৃদ্ধিতে ছিল ২৫৫টি, দর পতনের এক শ’টি এবং দর পরিবর্তিত ৩৫টি।
ব্লক মার্কেটে গতকাল ৩৫টি কোম্পানির ৪৭ লাখ ২০ হাজার ৪২টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে মোট ২৯ কোট পাঁচ লাখ ৬৬ হাজার টাকায়।

অন্য দিকে চট্টগ্রাম স্টকের তিনটি সূচকই উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সিএএসপিআই ১০৬.৯০ পয়েন্ট নিয়ে ১৬ হাজার ৬২৭.১৪ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স ৬৩.৪৩ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ১৮ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ৩০.৭২ পয়েন্ট বেড়ে এখন ১৩ হাজার ২৩০.৬৪ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেয়া ২২১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৪০টি, দর পতনে ৬৩টি এবং দর অপরিবর্তিত ১৮টি। আট কোটি ৪৩ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪৪ টাকা বাজারমূল্যে গতকাল মোট ৩৬ লাখ ৯৫২টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে। গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় গতকাল লেনদেন পাঁচ কোটি ৬০ লাখ টাকা কমেছে।

দিনের লেনদেন প্রসঙ্গে ব্রোকারেজ হাউজ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিশ্লেষক রয়্যাল ক্যাপিটাল বলছে, সূচক বাড়লেও সংশোধনের সম্ভাবনা থাকল। তিন কার্যদিবসে ডিএসই’র প্রধান সূচক প্রায় ১৪২ পয়েন্ট বেড়েছে। পাশাপাশি দৈনিক লেনদেনও ৯০০ কোটির ঘরে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে সূচক একটি গুরুত্বপূর্ণ সাপ্লাই জোন অতিক্রম করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছে, যা সূচকের সাময়িক সংশোধনের আভাস দিচ্ছে। ডিএসইএক্স ২৪ পয়েন্ট বৃদ্ধির বিপরীতে লেনদেন কমেছে ৩০ কোটি টাকা। মূলধন গত দিনের তুলনায় ০.৩০ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে ভলিউম ৩ শতাংশ এবং টার্নওভার ৩ শতাংশ কমেছে। ১৯টি সেক্টরের মধ্যে ১৫টি সেক্টরের বাজার মূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং চারটি সেক্টরের বাজার মূলধন হ্রাস পেয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement