পুঁজিবাজারের ১০০ পয়েন্ট অতিক্রমে লাগছে তিন-চার দিন
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
- বিক্রেতার চেয়ে বাজারে ক্রেতা দ্বিগুণের বেশি
- গতিশীল হচ্ছে বাজার
বর্তমান আপ ট্রেন্ডের বৈশিষ্ট্য ধরেই এগোচ্ছে পুঁজিবাজার সূচক। ডিএসইর প্রতি এক শ’ পয়েন্টের কোটা পার হতে বাজার তিন থেকে চার দিন সময় নিচ্ছে। ইতিবাচক পথে ফেরাতে বাজারে ক্রেতার চাপ বেশি। কিন্তু বিক্রেতা অর্ধেক বা চাহিদার তুলনায় ক্রেতা শেয়ার পাচ্ছে না। বিক্রেতা ২৪ শতাংশের বিপরীতে ক্রেতার চাপ ৬৮ শতাংশ। গত মঙ্গলবারের তুলনায় ডিএসইতে গতকাল বুধবার শেয়ার বেচাকেনা ৩৪ শতাংশ এবং টাকায় লেনদেন ২২ শতাংশ বেড়েছে। ফিরেছে ডিএসইর ০.২০ শতাংশ বাজারমূলধন। সূচকের সাথে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। প্রাতিষ্ঠানিক বিশ্লেষক রয়্যাল ক্যাপিটাল বলছে, বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘদিন মূল্য সংশোধনের মধ্যে থাকা শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন। অল্প লাভ হলেই তা তুলে নিয়ে পুনরায় অনুরূপ বৈশিষ্ট্যের অন্যান্য শেয়ারে বিনিয়োগ করছেন। এতে শেয়ারগুলো মূল্য ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি বাজার গতিশীল হচ্ছে।
দিনের লেনদেনের তথ্য থেকে জানা গেছে, দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৩.৬৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৭৩.৮৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮.৮১ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৮৬.৫৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮.৩০ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯১২.৯৩ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। সতেরো কোটি সাত হাজার ২২৯টি শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড হাতবদল হয়েছে ৫৩৯ কোটি ২৭ লাখ ৭১ হাজার ৯৪৫ টাকা গতকালের বাজারমূল্যে। গতকাল মঙ্গলবার লেনদেন হয় ৪৪০ কোটি ৬৩ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৯৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ৩৯৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ার তালিকায় ছিল ২৪১টি কোম্পানি, বিপরীতে দাম কমেছে ৯৭টির। আর ৫৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এ দিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৪৩টি কোম্পানি গতকাল লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির এক কোটি ৩০ লাখ ১১ হাজার ৭২৫টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে মোট ৪২ কোটি ১৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকায়। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আট কোম্পানির বলে ডিএসইর তথ্য থেকে জানা গেছে। আর কোম্পানিগুলো হলো- যমুনা অয়েল, ন্যাশনাল ব্যাংক, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, লাভেলো আইসক্রিম, ফাইন ফুডস, বেক্সিমকো ও আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এই আট কোম্পানির মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৪৬ লাখ টাকারও বেশি। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে যমুনা অয়েলের। কোম্পানিটির সাত লাখ ৩৭ হাজার শেয়ার হাতবদল হয়েছে মোট ১৪ কোটি ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংকের ৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকার, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩ কোটি ১৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকার, লাভেলো আইসক্রিমের ২ কোটি ৩৪ লাখ ২৭ হাজার টাকার, লাভেলো আইসক্রিমের ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮২ হাজার টাকার, ফাইন ফুডসের ১ কোটি ২৩ লাখ ১২ হাজার টাকার এবং আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১ কোটি ২২ লাখ ৯৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
অন্য দিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৮৪ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেয়া ২২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৬টির এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৮৬৮টি শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৫৫ লাখ ২৭৩ টাকায়। মঙ্গলবার লেনদেন হয় ১৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ফলে বেড়েছে ৮ কোটি টাকার বেশি।
প্রাতিষ্ঠানিক বিশ্লেষক বলছে, শুরু থেকেই গতকাল বাজার ইতিবাচক ছিল।ডিএসইতে ডিএসইএক্স ঊর্ধ্বমুখী ছিল এবং মূলধন গত দিনের তুলনায় ০.২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে ভলিউম ৩৪ শতাংশ এবং টার্নওভার ২২ শতাংশ বেড়েছে। একটি সেক্টরের মধ্যে ১৬টি সেক্টরের বাজারমূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনটি সেক্টরের বাজারমূলধন কমেছে। ফ্লোর প্রাইসে ছয়টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ব্লক মার্কেটে ৪২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ৭.৮২ শতাংশ। এসএমই বাজার সূচক (ডিএসএমইএক্স) ১৭.৯ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৪৫৭.৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৮.৬ কোটি টাকা, যা গত দিনের তুলনায় ৯৬ শতাংশ বেশি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা