১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
সাপ্তাহিক পর্যালোচনা

উভয় বাজারের সবগুলো সূচকে ঋণাত্মক পরিবর্তন

-

সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের উভয় শেয়ারবাজারের সবগুলো সূচকে ঋণাত্মক পরিবর্তন হয়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সব ক’টি মূল্যসূচকও কমেছে।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ৪৮ হাজার ৭৫৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ১ হাজার ৮২৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, যা সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬ কোটি ৭২ লাখ টাকায়। এ ছাড়া লেনদেনের দিক থেকে ডিএসইতে ২ হাজার ৭০ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৮২১ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। সপ্তাহের ব্যবধানে গড় লেনদেন কমেছে ৩২ দশমিক ২৯ শতাংশ।
অন্যান্য সূচকের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ২০৫ দশমিক ২ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩১২ পয়েন্টে। সপ্তাহের শুরুতে সূচকটি ছিল ৫ হাজার ৫১৭ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে ‘ডিএসই এস’ সূচক ৫২ দশমিক ৬২ পয়েন্ট কমেছে। আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক কমেছে ৬৬ দশমিক ২৯ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৮৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৮টির। আর ৩৩৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এ সময়ে ২০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহে সব ক’টি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনের চিত্রও ছিল একই।
সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৭৬৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৪৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বা ৩২ দশমিক ২৯ শতাংশ।
গত সপ্তাহের ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লাভেলো আইসক্রিম, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বিচ হ্যাচারি, ওরিয়ন ইনফিউশন, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ই-জেনারেশন এবং এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।
মূল্য বৃদ্ধির শীর্ষে ১০এ ছিল পর্যায়ক্রমে- বিডি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স, মিথুন নিটিং, শেফারড ইন্ডাস্ট্রিজ, ইয়াকিন পলিমার, রিলায়েন্স ওয়ান, ইউনিলিভার কনজিউমার, বিচ হ্যাচারি, এমবিল ১ম মিউ. ফান্ড, দুলা মিয়া কটন, ন্যাশন্যাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। সূচক অবস্থান করছে যথাক্রমে ১৫ হাজার ৪০৩ দশমিক ৩৭ ও ৯ হাজার ২৬৪ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে।
সপ্তাহ ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ১৫৫ কোটি ৮ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩০৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯টির, কমেছে ২৫২টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টি কোম্পানির শেয়ার দর।
গত সপ্তাহের সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- যমুনা ব্যাংক, জেএমআই হসপিটাল , মেঘনা পেট্রোলিয়াম, স্কয়ার ফার্মা, বাটা সু কোং, বেস্ট হোল্ডিংস, খান ওভেন ব্যাগ, বেক্সিমকো লি., রবি এক্সিয়াটা এবং ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস।
মূল্য বৃদ্ধির শীর্ষে ১০এ ছিল পর্যায়ক্রমে- বিডি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স, বেক্সিমকো লি., রিলায়েন্স ওয়ান, শেফারড ইন্ডাস্ট্রিজ, গোল্ডেন জুবিলি মিউ. ফান্ড, মিথুন নিটিং, ইয়াকিন পলিমার, ন্যাশন্যাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, একটিভ ফাইন এবং বিচ হ্যাচারি।
ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ৮.৬৫ শতাংশ
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১৯ থেকে ২৩ মে) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ৮.৬৫ শতাংশ।
তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৮৭ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯.৯৩ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ০.৯৪ পয়েন্ট বা ৮.৬৫ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসাবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে মনে করে বিএসইসি। সেই হিসাবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ৯.৯৩ পয়েন্টে।


আরো সংবাদ



premium cement