ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ১০ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
- ০৫ মে ২০২৪, ০০:০৫
ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ১০ম সমাবর্তন শনিবার সকালে রাজধানীর পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতির পক্ষে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এ সময় সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় অ্যাট আর্বানা-স্যাম্পেইনের এডওয়ার্ড উইলিয়াম এবং জেন মার গুটসেল প্রফেসর, ড. মো: তাহের আবু সাইফ।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, শিক্ষা এখন আর মুষ্টিমেয় তথাকথিত কিছু অভিজাত শ্রেণীর মধ্যে কুক্ষিগত নয়। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার দ্বারও এখন দেশব্যাপী উন্মুক্ত।
চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ড. কামাল আরো বলেন, সরকার শিক্ষা পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। এই পরিপ্রক্ষিতে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের শিক্ষাক্রমে যুগপৎ জ্ঞান ও দক্ষতার সমন্বয় ঘটাতে হবে।
সমাবর্তন বক্তা ড. মো: তাহের আবু সাইফ তার বক্তব্যে বলেন, আজকের দিনটি একই সাথে আনন্দের ও জীবনের প্রতিফলনের দিন। আজ সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যারের কথা, যার সারা জীবনই আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। ড. সাইফ গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, এখনই তোমাদের বড় বড় স্বপ্ন দেখা উচিত, যা মানবকল্যাণে কাজ আসবে। উল্লেখ্য, এবারের সমাবর্তনে ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর মিলিয়ে ৫ হাজার ৯৭৭ জন শিক্ষার্থীর ডিগ্রির সনদ দেয়া হয়। যার মধ্যে ¯œাতক ৪ হাজার ২১৬ জন এবং ¯œাতকোত্তর ১ হাজার ৭৬১ জন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিচরণ করতে হবে। তাদের এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে তারা নেতৃত্ব দিতে পারে। আত্মকেন্দ্রিকতা বাদ দিয়ে এ সাথে চলার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাষ্টির চেয়ারপার্সন স্থপতি মাহবুবা হক এবং ভিসি অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান। সমাবর্তনে স¦াগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: সুলতান মাহমুদ এবং মার্শালের দায়িত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) অধ্যাপক ড. এ কে এম নজরুল ইসলাম। উল্লেখ্য, ১০ম সমাবর্তনে ৯ জনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল এবং ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা