১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সংরক্ষণাগারের অভাবে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় : কৃষিমন্ত্রী

-

উদ্বৃত্ত উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও অপর্যাপ্ত মজুদ সুবিধা ও সংরক্ষণাগারের অভাবে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, প্রায় প্রতি বছরই পেঁয়াজ নিয়ে আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। সে জন্য, পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিগত দুই বছরে পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টন। দেশে বর্তমানে বছরে প্রায় ৩৫ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, যা চাহিদার চেয়েও বেশি। কিন্তু পেঁয়াজ খুবই পঁচনশীল হওয়ায় ও সংরক্ষণাগারের অভাবে আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবায় নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে নির্মিত পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আমরা কৃষককে বিনামূল্যে ও ভর্তুকিমূল্যে বীজ, সার প্রদানসহ সব রকমের সহযোগিতা দিচ্ছি। একই সাথে, অপচয় বা পোস্ট হার্ভেস্ট লস কমাতে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। ফসল হার্ভেস্টের পর ২০-৩০ শতাংশ নষ্ট বা অপচয় হয়। এত বিশাল অপচয় কেন হবে। এটি আমাদেরকে কমিয়ে আনতে হবে।
এ উদ্যোগ গ্রহণ করায় নেদারল্যান্ডস সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার আমাদের দেশের কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের জন্য খুবই উপকারে আসবে। কৃষকেরা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারবে। এ সময় নেদারল্যান্ডসের ও বাংলাদেশের বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরকে আরো পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার নির্মাণে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যা-সের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো: বখতিয়ার, জায়ান্ট এগ্রো প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরোজ হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দেশের জায়ান্ট এগ্রো প্রসেসিং নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতায় সংরক্ষণাগারটি নির্মাণ করেছে। প্রযুক্তি নেদারল্যান্ডসের। এটির ধারণক্ষমতা ৪০০ মেট্রিক টন।


আরো সংবাদ



premium cement