ইতিবাচক পথে বাজার, তবুও বেশির ভাগ কোম্পানি দরপতনের শিকার
ব্লক মার্কেটেই ১১০ কোটি টাকার বেশি বেচাকেনা- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০১ মে ২০২৪, ০০:০৫
পুঁজিবাজার ইতিবাচক পথে ফিরলেও তৃপ্তি পাচ্ছেন না দেশের বিনিয়োগকারীরা। কারণ সূচক ও লেনদেন দীর্ঘসময় পর আট শ’ কোটি টাকা অতিক্রম করলেও প্রায় ৫২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড দর হারিয়েছে। তবে ডিএসইর ব্লক মার্কেটে গতকাল শত কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। ইতিবাচক ছন্দের দিনেও লেনদেন শুরুর ২২ মিনিটের মাথায় ডিএসইর সবগুলো সূচকই পয়েন্ট হারিয়ে গতকাল সর্বনি¤েœ নেমে আসে। লেনদেন বৃদ্ধিতে বাজারমূলধনে নতুন করে তারল্য ফিরেছে ০.২২ শতাংশ বা এক হাজার ৫৫১ কোটি টাকা। তবে বড় বিনিয়োগকারীরা বাজারে সক্রিয় হতে শুরু করায় চিত্র ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ইতিবাচক মোড় নেয়। বড় বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যদি বাজারে সক্রিয় হয়, তাহলে বাজারের ছন্দ আপনা আপনি ফিরে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
পুঁজিবাজার পর্যালোচনায় রয়েল ক্যাপিটাল বলছে, ইতিবাচক পথে ফিরলেও বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছেড়ে দেয়ার প্রবণতায় বিক্রির চাপ গতকালও ছিল। বাজারে ৫১ শতাংশ বিক্রেতা থাকলেও বিক্রির চাপ ছিল ৫৩ শতাংশ। আর কেনার চাপ ছিল ৪৭ শতাংশ। তবে এন শ্রেণীর কোম্পানির শেয়ারের কোনো বিক্রেতা ছিল না। ডিএসইতে এসএমই সূচক এই ইতিবাচক দিনেও ১৭.৪৯ পয়েন্ট হারিয়েছে। আর ১৯টি খাতের মধ্যে লাভবান হয়েছে ৯টি এবং ১০টি খাতই লোকসানের শিকার।
দুই পুঁজিবাজারের লেনদেনের তথ্য থেকে বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সকাল ১০টা ২২ মিনিটে বাজার পতনের কবলে ছিল। তার এক ঘণ্টা পর বাজারে সূচক ও লেনদেন ইতিবাচক পথে ফিরতে শুরু করে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বৃদ্ধিতে ছিল ১৪৫টি কোম্পানি। ৩৯৫টি লেনদেনে অংশ নিলেও দাম কমেছে ২০৪টি বা ৫১.৬৪ শতাংশের এবং ৪৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এখানে মিউচুয়াল ফান্ড ৩৭টি লেনদেন হলেও দরপতনের শিকার ২৪টি। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৪.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৫৮৪.৬৪ পয়েন্টে, শরিয়াহ্ সূচক ৫.৭১ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২২৭.৫০ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১.৩১ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯৯৫.৩০ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
সবকটি মূল্যসূচক বৃদ্ধিতে ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে ৮৩৫ কোটি ৭২ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় মোট ২১ কোটি ৪৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৫০টি শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড হাতবদল হয়েছে। আর সোমবার লেনদেন হয় ৬৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১৭২ কোটি ২৯ লাখ টাকা বা ২৫.৯৭ শতাংশ। তবে শেয়ার বেচাকেনা বেড়েছে ১৭ শতাংশ।
ব্লক মার্কেটে শতকোটি টাকার ট্রেড: এদিকে, ডিএসইর ব্লক মার্কেটে গতকাল ৪১টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির দুই কোটি ৯১ লাখ ১৯ হাজার ৯২১টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড মোট ১১০ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার টাকায় হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের দুই কোটি ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৬টি শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে ৫৪ কোটি ৮৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। এছাড়া আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের আঠারো লাখ ৪৩ হাজার ১০১টি শেয়ার মোট ২২ কোটি চার হাজার টাকায়, ন্যাশনাল পলিমারের আট কোটি আট লাখ ৯৯ হাজার টাকার, ইউনিলিভার কনজিউমারের সাত কোটি ৭৯ লাখ ৬০ হাজার এবং বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের চার কোটি ২৩ লাখ পাঁচ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। পাঁচ কোম্পানির মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকারও বেশি।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট। সিএসসিএক্স ১০.৭৬ পয়েন্ট এবং সিএসই-৩০ সূচক ২৭.১৭ পয়েন্ট নতুন করে ফিরেছে সূচকে। লেনদেনে অংশ নেয়া ২২৬টি কোম্পানির মধ্যে ৭২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৪টির এবং ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তিন কোটি ২৭ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৪টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি ৭৪ লাখ ৪২ হাজার ৪৬২ টাকায়। সোমবার লেনদেন হয় ৫৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ফলে গতকাল এই বাজারে লেনদেন ৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেড়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা