বাজার ঊর্ধ্বমুখী : ৯৫ শতাংশ ছিল ক্রেতার চাপ, বিক্রেতা ৫ শতাংশ
লেনদেনে ৮০.৬১ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
পতনের কবল থেকে দুই দিন ধরে বেরিয়ে আসা পুঁজিবাজারে ক্রেতার চাপ থাকলেও নেই বিক্রেতা। ২১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে ছিল না। বাজারে মূল্যসূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির দর বাড়লেও টাকায় ও শেয়ার দুই লেনদেনেই কমেছে। লেনদেনে অংশ নেয়া ৮০.৬১ শতাংশ কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে বাজারে তারল্য ফিরেছে চার হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা বা ০.৬৭ শতাংশ। গতকাল ঈদের আগের শেষ কার্যদিবসেও বিক্রেতা ছিল না। একটু ঊর্ধ্বমুখী বাজার হওয়ার কারণে অনেকে এখন শেয়ার ধরে রাখতে চাইছেন মুনাফা বেশি পাবার জন্য।
এক পর্যালোচনায় লঙ্কাবাংলা অ্যানালাইসিস পোর্টাল বলছে, ডিএসইর সূচকের উত্থানে মুখ্য ভূমিকায় ছিল ১০ কোম্পানির শেয়ার। যেগুলোর দর বৃদ্ধির ফলে ডিএসইর সূচক বেড়েছে ২৬ পয়েন্টের বেশি। এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দরেও। আর রয়েল ক্যাপিটাল বলছে, বাজারে গতকাল ক্রেতার আধিক্য ছিল, কিন্তু বিক্রেতা ছিল না। তবে ক্রয়-বিক্রয়ে ছিল ছিল ২১ শতাংশ বিনিয়োগকারী। লেনদেনে আগের দিনের তুলনায় শেয়ারের বিক্রি কমেছে ৮ শতাংশ এবং টাকায় কমেছে ৫ শতাংশ। ১৯টি খাতের সবগুলোই লাভবানে ছিল গতকাল।
বাজারের লেনদেনের তথ্য থেকে বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রথম দুই ঘণ্টায় স্টক এক্সচেঞ্জটির প্রধান সূচক বেড়েছে ৪৩ পয়েন্টের বেশি। আর শেয়ারদর বেড়েছে ২৮৬ কোম্পানির। এ সময় লেনদেন হয়েছে ১৬৭ কোটি টাকার বেশি। ঢাকা স্টকের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৪.১০ পয়েন্ট বেড়ে এখন পাঁচ হাজার ৮৬০.২৩ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১৪.৬৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৮১.০৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৮.৪৭ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ৩৩.৪০ পয়েন্টে রয়েছে। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও ডিএসইতে গতকাল ১৩ কোটি ৪৬ লাখ ১৮ হাজার ৭১৩টি শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড হাতবদল হয়েছে ৪১৫ কোটি ৩২ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ টাকায়। যা আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৩৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে ২১ কোটি টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ডিএসইতে ৩৯২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩১৬টির বা ৮০.৬১ শতাংশের, কমেছে ৩৬টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির।
ব্লক মার্কেটে ৬৬ কোটি টাকার ট্রেড : এ দিকে, ঢাকা স্টকের ব্লক মার্কেটে গতকাল ২৮টি কোম্পানির দুই কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ১৯৬টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেনে হয়েছে মোট ৬৬ কোটি ৩৯ লাখ ২ হাজার টাকায়। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংকের এক কোটি ৬০ লাখ ৮২ হাজার চারটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে মোট ৪৩ কোটি ৪২ লাখ ১৪ হাজার টাকায়। এ ছাড়া পাঁচ কোম্পানির মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৯ কোটি ২৮ লাখ টাকারও বেশি। এখানে ইসলামী ব্যাংকের ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকার, আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ২ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকার, লাভেলো আইসক্রিমের ১ কোটি ৯৫ লাখ ১২ হাজার টাকার এবং ফাইন ফুডস লিমিটেডের ১ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে আলহাজ টেক্সটাইলের ১ কোটি ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৯১ লাখ ৯৭ হাজার টাকার, বাংলাদেশ স্টিলের ৯০ লাখ টাকার, অগ্নি সিস্টেমসের ৭২ লাখ ১৭ হাজার টাকার এবং রেনাটা লিমিটেডের ৬৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
অন্য দিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবগুলো সূচকই বেড়েছে। সিএএসপিআই সূচক ৭৩.৩৭ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ৪২.৬৫ পয়েন্ট এবং সিএসই-৩০ সূচক ৫৯.৯৩ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৬ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৯টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে মোট ৬ কোটি ২৯ লাখ ১৫ হাজার ১৩৩ টাকায়। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৪ কোটি ৭ লাখ টাকার। সিএসইতে ১৫৪টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিলেও দর বেড়েছে ১১২টির, কমেছে ২৭টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা