ক্রেতার চাপ অনেক বেশি বিক্রেতা নেই পুঁজিবাজারে
বাই প্রেসার ৮১ শতাংশ এবং সেল প্রেসার মাত্র ১৯ শতাংশ- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
পুঁজিবাজারে চলছে চোর-পুলিশ খেলা। এই খেলার খেশারত দিচ্ছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। দুই দিন পতনের পর গতকাল ইতিবাচক পথে ফিরেছে সূচক ও দর বৃদ্ধির মাধ্যমে। তবে এই বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের মাঝে কোনো আস্থা ফেরাতে পারবে না। রাত পোহালেই আবার কী ঘটে এই আতঙ্ক নিয়ে ঘুমায় তারা। বাজার ইতিবাচক হলে গতকাল বাই প্রেসার থাকলেও কোনো বিক্রেতা ছিল না তেমন। ৮১ শতাংশ বাইপ্রেসারের বিপরীতে বিক্রেতা ছিল মাত্র ১৯ শতাংশ। বাজারে তারল্য ফিরেছে ০.১১ শতাংশ। ১৭টি খাত লাভবানে ছিল। লোকসান দিয়েছে ব্যাংক ও খাদ্য খাত।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস গত রোববার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছিল ৫১ পয়েন্ট। পরের দিন সোমবার সূচক উধাও হয়ে যায় ৬৮ পয়েন্ট। মঙ্গলবার পতনের পাল্লায় যোগ হয় আর ২৩ পয়েন্ট। অর্থাৎ গত দুই দিনে সূচক হাওয়া হয়ে যায় ৯১ পয়েন্ট। লেনদেনের শুরুতে গতকাল পুঁজিবাজার নেতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরু হলেও পরক্ষণেই ইতিবাচক প্রবণতায় টার্ন নেয়। ডিএসইতে ডিএসইএক্স ৩৭.৬৭ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৭৭৬.৬৭ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১১.৮২ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৫৭.১৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১২.৪১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৪.১৩ পয়েন্টে রয়েছে। এগারো কোটি ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ৯৭৩টি শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড গতকাল ডিএসইতে ৪৩৩ কোটি ৯৬ লাখ ৫১ হাজার ২৩৬ টাকায় লেনদেন হয়েছে। গত মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৩৬৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে ৬৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৫টি কোম্পানির এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৭৯টির, কমেছে ৬৪টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫২টির।
আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকার। সিএসইতে ১৮৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১২টির, কমেছে ৪৪টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের। সিএএসটিআই সূচক গতকাল ৯২ পয়েন্ট বেড়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা