১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রাজশাহীতে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ভয়ঙ্কর সুদ কারবারিরা

-

এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রাজশাহীর চিহ্নিত সুদ কারবারিরা। তাদের ভয়ঙ্কর থাবায় প্রায় পথে বসার উপক্রম শতাধিক পরিবার। এ নিয়ে সুর্নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলেও অভিযুক্তদের কাউকেই এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এরই মধ্যে অভিযুক্ত সুদ কারবারিদের বেশ কয়েকজন আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরেছে।
এদিকে পুলিশের একটি সূত্র দাবি করেছে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করার জন্য ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় প্রভাবশালী নেতার চাপ রয়েছে।
নগরীর অদূরে কাটাখালী থানার থান্দারপাড়া এলাকার মৃত সমশের আলীর দুই ছেলে ও ছয় মেয়ে মিলে গড়ে তুলেছেন সুদ কারবারি সিন্ডিকেট। এছাড়া স্থানীয় আরো কয়েকজনসহ সব মিলিয়ে অন্তত ১৫ জন এই সিন্ডিকেটের সদস্য। কাটাখালী এলাকাকে টার্গেট করেই মূলত সুদ কারবারিদের অবৈধ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। সুদ কারবারিরা হলেন- দুলাল হোসেন (৫৫), নাজমা বেগম (৪৩), ছামেনা বেগম (৩৬), মোসা: নীলা বেগম, মোসা: মনু বেগম (৪৬), শীলা বেগম (৪৫) প্রমুখ।
গত ১৫-১৬ বছর ধরে সুদ কারবারিরা তাদের এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার প্রভাবশালী কতিপয় ব্যক্তির ছত্রছায়ায় থেকে তারা অনেকটা নিরাপদে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড চালানোর সুযোগ পাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে কাটাখালী থানার থান্দারপাড়া এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, সুদ কারবারিদের নিপীড়নের শিকার শতাধিক পরিবার। এসব বিষয় নিয়ে ‘রাজশাহীতে সুদ কারবারিদের ভয়ঙ্কর থাবায় নিঃস্ব হওয়ার পথে শতাধিক পরিবার’ শিরোনামে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নয়া দিগন্তসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ফলে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় থানা পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় সুদ কারবারিদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশ কঠোর অবস্থান নেওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলোতে অনেকটা স্বস্তি ফিরে। আর অভিযুক্ত সুদ কারবারিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে ভয়ে এলাকা ছাড়া ভুক্তভোগী মানুষগুলোর বেশিরভাগই বর্তমানে নিজ বাড়িঘরে ফিরেছেন।
সুদ কারবারিরা এলাকার নি¤œবিত্ত, নি¤œ মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবারগুলোকে টার্গেট করেন। প্রতি লাখে ৩০ পার্সেন্ট হারে সুদে তারা ঋণ দিয়ে থাকেন। অর্থাৎ কেউ ৩০ পার্সেন্ট হারে সুদে এক লাখ টাকা ঋণ নিলে তাকে আসল ও সুদ মিলে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু কোনো কারণে ভুক্তভোগীরা এক বা দুই মাস কিস্তি দিতে না পারলে চক্রবৃদ্ধি হারে আরো অনেক টাকা সুদ গুনতে হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর আয়েশা খাতুন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জানতে চাইলে কাটাখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুর রহমান বলেন, ওই এলাকার একই পরিবারের দুই ভাই ও ছয় বোন এবং পরিবারটির আরো একাধিক সদস্য ও স্থানীয় কয়েকজন মিলে অন্তত ১৫ জন এই সুদ কারবারির সাথে জড়িত।


আরো সংবাদ



premium cement
প্যাভিলিয়ন বাতিলসহ ৪ দফা দাবিতে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালককে স্মারকলিপি জনআকাঙ্ক্ষা ও সরকারের পথচলা অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশ নারী দল ঘোষণা গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় মিলেছে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে ভারত, প্রত্যাশা আসিফ মাহমুদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ব্র্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করব : ভিসি ৪৭তম বিসিএসের আবেদনের নতুন সময় জানালো পিএসসি জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসা সহায়তার আশ্বাস সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার মানবসেবার জন্যই হাসপাতাল করেছি : জামায়াত আমির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত চট্টগ্রামে সাবেক এমপি মোতালেবসহ ২৪৮ জনের নামে মামলা

সকল