বর্ষায় জলাবদ্ধতা ও মশা নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ডভিত্তিক মনিটরিং চলবে : মেয়র শাহাদাত
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
ডেঙ্গু ও কিউলেক্স থেকে জনগণকে বাঁচাতে মশা নিয়ন্ত্রণে পরিচ্ছন্ন বিভাগকে কার্যকর ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন। প্রয়োজনে মশা নিয়ন্ত্রণে ঔষুধ ক্রয়, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও নতুন কৌশল খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গতকাল টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে পরিচ্ছন্ন বিভাগের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অভিযান চালানোর ফলে নগরীর পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে কিছুটা হলেও গতি এসেছে। তবে সামনে আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা ও মশা নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ডভিত্তিক মনিটরিং চলবে।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ১০০ পিস ফগার মেশিন এবং ১২০ পিস স্প্রে মেশিন কিনেছি। এ ছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বেশ কিছু ব্যাংক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) ডেঙ্গু ও মশাবাহিত স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় অত্যাধুনিক ফগার মেশিন উপহার দিয়েছে। আরো কিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা চলছে, তারাও জনগণের পাশে দাঁড়াতে ইতিবাচক। এ ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে নালা-খাল পরিষ্কারের জন্য ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি ব্যাকহোলোডার গাড়ি সংগ্রহ করেছি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৪০ হাজার বিন বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জনগণ যাতে উপকৃত হয়। জনগণ যাতে মশার কামড় খেয়ে হসপিটালে আসতে না হয় কিংবা মৃত্যুবরণ না করে কিংবা তারা কোনো ডিস্টার্ব ফিল না করে এজন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
মশা নিয়ন্ত্রণের ওষুধ সম্পর্কে মেয়র বলেন, মশার ওষুধের যাতে কোনোভাবেই ঘাটতি না পড়ে। বর্তমানে দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মশার জীবনচক্র বদলে যাচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজনে আপনারা নতুন ওষুধের সন্ধান করুন। আরো কোনো কোম্পানি যদি ভালো ওষুধের সন্ধান দিতে পারে সেগুলো আমরা সংগ্রহ করব। এ ব্যাপারে আমরা কোনো কম্প্রমাইজ করতে চাই না। মশা নিয়ন্ত্রণে কিছু বিকল্পের কথা ভাবছি আমরা।
মেয়র আরো বলেন, যে সমস্ত পরিচ্ছন্ন কর্মী মশার স্প্রে করার ক্ষেত্রে গাফিলতি করছে তাদের চাকরি থেকে বের করে দেব। আমি যারা সুপারভাইজার আছেন প্রত্যেকটা ওয়ার্ডের আপনাদেরকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই কেউ ফাঁকিবাজি করলে এটার দায়-দায়িত্ব আপনাদেরকে নিতে হবে। যদি আপনারা লুকাতে চান আমরা আল্টিমেটলি খবর পেয়ে যাবো। প্রতিটি এলাকায় আমাদের লোকজন আছে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, চসিকের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মাসহ পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা