অপপ্রচারের জবাব দিয়েছে ওয়ালটন
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
দেশীয় মালিকানাধীন শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও হাই-টেক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন জানিয়েছে, সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে কিছু ব্যক্তি মানববন্ধন করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে, যা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ওয়ালটন মনে করে, এসব প্রচারণা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দেশীয় শিল্পের সুনাম ক্ষুণেœর অপচেষ্টা মাত্র। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে বিদেশী পণ্য আমদানির সুযোগ তৈরি করতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওয়ালটন জানিয়েছে, ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও হাই-টেক শিল্প খাতে বিপ্লব ঘটিয়ে বাংলাদেশকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে তারা। ক্রেতা, বিক্রেতা ও শুভানুধ্যায়ীদের ভালোবাসা এবং সহযোগিতায় দেশীয় শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্রেডিট রেটিংয়ের সর্বোচ্চ মানদণ্ড ট্রিপল এ রেটেড কোম্পানি ওয়ালটন। প্রতি বছরই সর্বোচ্চ ভ্যাট-ট্যাক্স দেয়ার জন্য ওয়ালটন পুরস্কৃত হয়ে আসছে। সব ধরনের কমপ্লায়েন্স মেনে পণ্য উৎপাদন, বিপণন, বিক্রয় কার্যক্রম এবং বিক্রয়োত্তর সেবা পরিচালনা করে। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টেস্টিং ইক্যুইপমেন্ট দিয়ে ওয়ালটন উৎপাদিত পণ্যের মান যাচাই করা হয়। বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে প্রতিটি পণ্যের মান সনদ পাওয়ার পরই তা বাজারজাত করা হয়।
বৈশ্বিক স্ট্যান্ডার্ড বজায় রেখে স্বচ্ছতার সাথে আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত এবং করপোরেট গভর্নেন্স ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করায় ওয়ালটন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন পুরস্কার ও সনদ অর্জন করেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড, আইসিএবি, আইসিএমএবি, আইসিএসবি অ্যাওয়ার্ড ইত্যাদি।
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন এবং পরিকল্পিত। কিছু ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর পূর্বে বাকিতে পণ্য নিয়ে বিক্রির পর পাওনা অর্থ পরিশোধ করেননি। তারা ওয়ালটন থেকে বাকিতে নেয়া পণ্য বিক্রির টাকা অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন বা এমন খাতে বিনিয়োগ করেছেন যেখানে প্রত্যাশিত আর্থিক সাফল্য আসেনি। বর্তমানে, তারা নানা টালবাহানা করে ওয়ালটনের বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ তুলে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করছেন, যা মূলত বকেয়া অর্থ পরিশোধ এড়ানোর কৌশল।
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ মনে করে, বাজেট ঘোষণার কয়েক মাস আগে থেকেই কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দেশীয় শিল্পকে হুমকির মুখে ফেলার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং বিদেশী পণ্যের আমদানির সুযোগ সৃষ্টির জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এসব অপপ্রচার কেবল একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নয়, বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, যদি কোনো ডিলার বা ডিস্ট্রিবিউটর মনে করেন যে তারা ওয়ালটনের কোনো বিক্রয় প্রতিনিধি কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বা হিসাব বুঝে পাননি তাহলে তারা যেন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে সরাসরি যোগাযোগ করেন, যাতে বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা যায় এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া যায়।
এ অবস্থায় ওয়ালটন তাদের অগণিত গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী এবং অংশীদারদের এসব বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারে কান না দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। সেই সাথে দেশীয় শিল্প রক্ষায় এবং বাজেট ঘোষণার কয়েক মাস আগে থেকে শুরু হওয়া মিথ্যা প্রচারণা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা