আইডিএলসি ইসলামিক : অর্থায়নে শরিয়াহভিত্তিক সমাধানের নতুন দিগন্ত
- ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
গত কয়েক দশকে মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এ পরিবর্তন নাগরিকদের সামগ্রিক জীবনযাপন ও অর্থনৈতিক আচরণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। বাস্তব জীবনে ইসলাম চর্চা করে এমন মুসলমানের সংখ্যাও উত্তরোত্তর বাড়ছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে সাথে এ ধরনের মুসলমানদের প্রবৃদ্ধি শরিয়াহসম্মত পণ্য ও পরিষেবার চাহিদাকে ত্বরান্বিত করেছে। ইসলামিক অর্থায়ন কার্যক্রমে আইডিএলসির প্রবেশ এ ক্রমবধর্মান চাহিদার প্রতি ইতিবাচক সাড়া। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই আর্থিক খাতের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠানটি বিশদ কর্মপরিকল্পনার আলোকে এ চাহিদা পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্সর উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষে আমানত ৮.১৬% বেড়েছে। একই সময়ে বিনিয়োগও ৯.৮১% বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ২০২৪ সাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল ও ইসলামী ব্যাংকিং আমানত ২০২৪-এর মে মাসে ৪,২৮৮.০২ বিলিয়ন টাকায় পৌঁছেছে। ওই সময় বিনিয়োগও ৫,০৪১.১৩ বিলিয়ন টাকা দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থায় মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪,৩৬৬.৬৭ বিলিয়ন টাকা, যা সমগ্র ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের ২৫.০৮%। বিনিয়োগ (ঋণ এবং অগ্রিম) ৪,৭০৪. ৪৩ বিলিয়ন টাকায় পৌঁছেছে, যা সেক্টরের মোট ২৮.১৮% প্রতিনিধিত্ব করে। এটাই প্রমাণ করে যে দেশের সমগ্র ব্যাংক ব্যবস্থার মোট আমানতের প্রায় ১/৪ ভাগ এবং বিনিয়োগের ১/৪ ভাগের অধিক হিস্যা মাত্র ১৫% বিতরণ কেন্দ্র (ইসলামী ব্যাংক/ফিন্যান্স উইন্ডো এবং ইসলামী ব্যাংক ব্রাঞ্চসহ) ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হাতে রয়েছে। এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা জনগণের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক আর্থিক সমাধানের জন্য ক্রমবর্ধমান অগ্রাধিকারকে নির্দেশ করে। ফলে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ চাহিদা মেটাতে ক্রমান্বয়ে ইসলামিক ব্যাংকিং পরিষেবার আওতা বিস্তার করছে। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা