২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১, ২৫ রজব ১৪৪৬
`
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

শেয়ারবাজারে মূলধন ফিরেছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩২ দশমিক ৬১ পয়েন্ট
-

দেশের শেয়ারবাজারে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। এক দিকে বাড়ছে লেনদেন। একই সাথে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। গত এক সপ্তাহের লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। এতে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে বেড়েছে সব ক’টি মূল্য সূচক। এমন পরিস্থিতিতে বেড়েছে বাজার মূলধন। পাশাপাশি দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে।
এক সপ্তাহের বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায় গত এক সপ্তাহে ডিএসইতে সব সূচক বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের শেয়ারবাজারে প্রবৃদ্ধি লক্ষ করা গেছে। এর ফলে লেনদেনে টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন ফিরেছে তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি। এ দিকে দেশের দ্বিতীয় শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এই সময়ে সব সূচকের বৃদ্ধি সত্ত্বেও লেনদেনের টাকার পরিমাণ কমেছে।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত এক সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ, যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৬৬ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৮ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯১৩ দশমিক ০৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১১ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৬১ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০১টির, কমেছে ১৫০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের।
গত এক সপ্তাহে ডিএসইতে ৭১ কোটি ২৩ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার ছয় লাখ ৯৫ হাজার ১৪৬ বার হাতবদল হয়েছে। টাকার অঙ্কে যার বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৩ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৮৯০ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার; অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৭২ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা বা ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। তথ্যে দেখা যায় গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ছয় লাখ ৫৬ হাজার ৯৪০ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার টাকা। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৬০ হাজার ৫৮৭ কোটি ৬০ লাখ ২০ হাজার টাকায়। এতে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে তিন হাজার ৬৪৭ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার টাকা বা শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ।
এদিকে সিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৭ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪৪৯.০৫ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচক সিএসসিএক্স ৬৯ দশমিক ০৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭৯৭.৩৯ পয়েন্টে। এ ছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ১১৮ দশমিক ২০ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৮৭৭ দশমিক ৭১ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩০০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট এর হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬২টির, কমেছে ১১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির।
গত এক সপ্তাহে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৮৮ টাকার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৮৩ কোটি ৭৬ লাখ ৬১ হাজার ৫৪ টাকার। এতে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬২ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬৫ টাকা বা ৭৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।
চার খাতের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে : শেয়ারবাজারে গত এক সপ্তাহে সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারবাজারে মোট লেনদেনের অর্ধেকেরও বেশি হয়েছে চার খাতে। এর মধ্যে ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৩৮৯ কোটি, বস্ত্র খাতে ২৫৪ কোটি, প্রকৌশল খাতে ২২৪ কোটি এবং ব্যাংক খাতে ২০৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। সব মিলিয়ে আলোচ্য চার খাতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৭৩ কোটি টাকা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিগুলোর প্রান্তিক আর্থিক ফলাফলকে ঘিরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার কেনার প্রবণতা বেড়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি ১০ বছর মেয়াদি সরকারি বন্ডের ইল্ড কমার কারণে সামনে নীতি সুদহার কম থাকবে বলে প্রত্যাশা করছেন বিনিয়োগকারীরা। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায় খাতভিত্তিক লেনদেনে বিদায়ী সপ্তাহে ওষুধ ও রসায়ন খাতের আধিপত্য ছিল। লেনদেনচিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮দশমিক ৮৯ শতাংশ নিয়ে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ১২ দশমিক ৩২ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ লেনদেন নিয়ে প্রকৌশল খাত। চতুর্থ অবস্থানে থাকা ব্যাংক খাতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তালিকার পঞ্চম অবস্থানে ছিল তথ্য ও প্রযুক্তি খাত।


আরো সংবাদ



premium cement
ঢাবি ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২০ হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান ৩ দিনের রিমান্ডে ট্রাম্পের শুল্ক নীতি চীনের অর্থনীতিকে চাপে ফেলতে পারে ঢাবি ভিসির সাথে ৭ কলেজের অধ্যক্ষদের জরুরি সভা চলছে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে চরমোনাই পীরের সাথে বৈঠকে মির্জা ফখরুল খুলনাসহ ১৬ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ ও পরিবহন বন্ধ নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট যত বিভাগ আছে, তা আগামী ৬ মাসের মধ্যে সংস্কার করা সম্ভব : মিয়া গোলাম পরওয়ার ঢাবি প্রো-ভিসির পদত্যাগের ৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম লেবানন-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তি ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির পক্ষে মামলা পরিচালনার আবেদন করতে পারবেন আইনজীবীরা

সকল