০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬
`

চলনবিলে ২ লাখ টন সরিষা উৎপাদনের আশা

-

চলতি মৌসুমে পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জের চলনবিল অধ্যুষিত এলাকায় প্রায় ২ লাখ ২২ হাজার টন সরিষা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট কৃষি দফতর। বৃহত এ এলাকায় প্রায় দেড় লাখ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। ভোজ্য তেলের আমদানিনির্ভরতা কমাতে সরকার প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় হাজার হাজার কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ করেছে।
চলনবিল এলাকার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর, তাড়াশ, সিংড়া, উল্লাপাড়ার পশ্চিমাংশসহ এর আশপাশ এলাকার মাঠগুলো সরিষা বীজ বপন করেন চাষিরা। মাঠ থেকে বর্ষার পানি চলে যাওয়ার পর কেউ কেউ পতিত জমিতে সরিষা বীজ বপন করেন কেউ কেউ জমি চাষ করে সরিষার বীজ বপন করেন। অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিকে সরিষা খেত ভরে যায় হলুদ সরিষা ফুলে। পৌষ শেষ থেকে মাঘ মাসে জমি থেকে সরিষা সংগ্রহের পর এসব জমিতে বোরো ধান চাষ করেন কৃষক। সরিষা বিক্রির টাকা এ এলাকার কৃষকের বোরো চাষে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
চাটমোহর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কেবল চাটমোহরেই সরিষা আবাদ হয়েছে ৮,৩০০ হেক্টর জমিতে। হেক্টর প্রতি সম্ভাব্য গড় ফলন ধরা হয়েছে এক দশমিক আটচল্লিশ (১.৪৮) টন।
সরেজমিন চলনবিল এলাকার কিছু মাঠ পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, জমিগুলোতে ফুলে ফুলে সমারহ। কৃষকদের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, আগামি কয়েক দিনের মধ্যে সব সরিষা ফুল থেকে ফলে পরিনত হবে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মৌ খামারিরা সরিষা ক্ষেতের পাশে স্থাপন করেছেন মৌবক্স।
চাটমোহরের বিলচলন ইউনিয়নের চরসেন গ্রামের কৃষক মামুন জানান, বর্তমান সময়ে অনেক ভাল জাতের সরিষা চাষ হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়। যারা জমি চাষ করে সরিষার আবাদ করেছেন তাদের খরচ কিছু বেশি হচ্ছে। বিঘা প্রতি ৫ থেকে ৬ মন হারে ফলন পাওয়া যায়। বর্তমান প্রতি মন সরিষার বাজার মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৬০০ টাকা। নতুন সরিষা যখন বাজারে ওঠে তখন দাম কমে যায়। কৃষক বিঘা প্রতি প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা লাভ করতে পারেন। নর্থবেঙ্গল হানি কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, চলনবিলে প্রায় দেড় লাখ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়। সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌবক্স স্থাপন করায় পরাগায়ন ভালো হওয়ায় এ এলাকায় সরিষার ভাল ফলন হয়।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানান, চলনবিল এলাকায় সাধারণত উচ্চফলনশীল বারী-৯, ১৪, ১৫, ১৭, ১৮ ও বীনা- ৪, ১১সহ স্থানীয় জাতের সরিষা চাষ হয়। ভোজ্য তেল জাতীয় এ ফসলটির আবাদ সম্প্রসারণে কৃষি অফিস কৃষককে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে। আবহাওয়া সরিষা চাষের অনুকূলে থাকলে কৃষক কাক্সিক্ষত ফলন পাবেন। বর্তমান বাজারে সরিষার দাম ও বেশ ভাল। আশা করছি সরিষা চাষিরা লাভবান হবেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
চৌগাছায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণের ৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার, আটক ২ ভারতের দখলে থাকা কোদলা নদীর ৫ কিলোমিটার উদ্ধার করেছে বিজিবি বাংলার মাটিতেই গুম-হত্যার বিচার হবে : ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা চট্টগ্রাম আদালত থেকে ১৯১১টি মামলার ফাইল ‘উধাও’ বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অবনী মোহন গ্রেফতার খালেদা জিয়ার গাড়ির রুট প্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ধেয়ে আসছে শীতকালীন ঝড় রাজধানীতে র‌্যাবের বিশেষ চেকপোস্ট ও রোবাস্ট পেট্রোল কার্যক্রম জোরদার সাবেক হুইপ কমলের ক্যাশিয়ার তপনকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা পদত্যাগের ঘোষণা কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর

সকল