০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১, ৪ রজব ১৪৪৬
`

নতুন বছরের ২য় দিনে বাজার মূলধন কমেছে হাজার কোটি টাকা

-

বছরের প্রথম কর্মদিবস দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেলেও দ্বতীয় কর্মদিবসে বাজার মূলধন কমেছে হাজার কোটি টাকা। শেয়ারবাজারের এমন অচারণ বিনিয়োগকারীদের বেশ হতাশ করেছে। দিন শেষে সকগুলো সূচক যেমন কমেছে। তেমনি টাকার অংকে লেনদেন ছিল নিম্নমুখী।
শেয়ারবাজার পর্যালোচনায় দেখা যায় নতুন বছরের প্রথম কর্মদিবসে শেয়ারবাজারে সূচক বেড়েছিল ১ দশমিক ৭১ পয়েন্ট। এমন পরিস্থিতিতে বাজার মূলধন বাড়ে এক হাজার ২৮৫ কোটি টাকা। গতকাল দিনশেষে শেয়ারবাজারে সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট। একই সাথে কমেছে লেনদেন। দিন শেষে আগের দিনের তুলনায় লেনদেনে কম হয়েছে ১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বা ৫ শতাংশ। একই সাথে গতকাল কমেছে ৯৫৩ কোটি টাকা।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায় গতকাল দিনের শুরুতে সূচকের উত্থানের মাধ্যমে লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেন শুরুর মাত্র ১২ মিনিটের মাথায় সূচক পতনের ধারায় চলে আসে। এরপর পতনের ধারা অব্যাহত থাকে এবং দিন শেষে সূচক আর ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে আসতে পারেনি। এর আগে গত এক সপ্তাহের মধ্যে তিন কর্মদিবসে পতনের কারণে শেয়ারবাজারে সূচক কমেছে ৫২ পয়েন্ট। তবে এর পর টানা চার কর্মদিবসে শেয়ারবাজারে সূচক বেড়েছে ৪৯ পয়েন্ট। অর্থাৎ চার দিনের উত্থানেও আগের তিন কর্মদিবসে হারানো সূচক উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আগের তিন দিনের পতনের যে পরিমাণ সূচক কমেছে তা ফিরে না আসতেই আবার নতুন করে সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের শেয়ারবাজারের আচরণ বোঝা খুবই কঠিন। একদিন সূচক বাড়লে এর পর কমতে থাকে কয়েক দিন। এমন অবস্থার মধ্যে বিনিয়োগকারীরা তাদের ক্ষতি থেকে উঠে আসতে পারছে না। অব্যাহত পতনে বিনিয়োগকারীরা প্রতিদিন তাদের পুঁজি হারাচ্ছেন। বিনিয়োগকারীদের পুঁজির নিরাপত্তা দিতে পারছে না নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এভাবে চলতে থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
গতকাল বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৮ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট। দিন শেষে ডিএসইএক্স ৫ হাজার ১৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ‘ডিএসইএস’ কমেছে ৯ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট। দিন শেষে ডিএসইএস এর অবস্থান ছিল ১ হাজার ১৫৫ পয়েন্ট। এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক কমেছে ১০ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট। শেষ সময়ে ডিএসইএস এর অবস্থান ছিল ১ হাজার ৯৩০ পয়েন্টে। দিন শেষে ডিএসইতে হাত বদল হয়েছে ৩১৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৩০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। গতকাল লেনদেন কমেছে ১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বা ৫ শতাংশ।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৮টির বা ২৪ দশমিক ৬২ শতাংশের, কমেছে ২২৯টির বা ৫৭ দশমিক ৫৪ শতাংশের এবং দর অপরিবর্তন ছিল ৭১টির বা ১৭ দশমিক ৮৪ শতাংশের।
এ দিকে গতকাল অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে হাত বদল হয়েছে ১০১ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার। গতকাল দিন শেষে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ৯৫টির এবং অপরিবর্তন রয়েছে ২২টির।


আরো সংবাদ



premium cement
রাতের ভোটের ৩০ জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে সংস্কার কতটা তার ওপর জটিলতা না থাকলে মঙ্গলবার বিদেশ যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ধ্বংসস্তুপ থেকে অর্থনীতি টেনে তোলার চ্যালেঞ্জে অন্তর্বর্তী সরকার সম্মিলিত কল্যাণমুখী সরকার দেশের কল্যাণ আনবে : ডা: শফিক ছাত্রদলকে পড়ায় মনোযোগী হতে বললেন মির্জা ফখরুল বিএফআইইউ প্রধান হতে এস আলম ও আ’লীগের সুবিধাভোগীদের দৌড়ঝাঁপ পদ ছাড়াই রূপালী ব্যাংকে ঢালাও পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছেন নিম্ন আদালতের ৫০ বিচারক দুপুরে সূর্য উঁকি দিলেও রাত কেটেছে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সকল