২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

জাতি পরিবর্তনের মূল চাবিকাঠি তরুণ সমাজের হাতে : চুয়েট ভিসি

-

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভিসি অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, “চুয়েটসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের সংগ্রাম এবং একতার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে, একটি জাতি পরিবর্তনের মূল চাবিকাঠি তরুণ সমাজের হাতে। এই আন্দোলনে আমাদের চুয়েটের অসংখ্য শিক্ষার্থী সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন। আমাদের শিক্ষার্থীদের এই অসামান্য অবদান আমাদের গর্বিত করে। চুয়েটের শিক্ষার্থীরা যেভাবে চট্টগ্রাম ও ঢাকার আন্দোলনকে বেগবান করেছে, নিঃসন্দেহে তা প্রশংসার দাবিদার। এই সংগ্রামের পথ সহজ ছিল না। চুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপরও চালানো হয়েছিল অবর্ণনীয় নির্যাতন। এত ত্যাগ, এত কষ্টের বিনিময়ে আমরা একটি নতুন স্বাধীনতার ঘ্রাণ নিতে পারছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি এরকম উদ্দীপ্ত, সচেতন এবং সাহসী থাকে, তবে চুয়েট কেবল এগিয়েই যাবে না বরং আমাদের দেশও একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হবে। আমাদের এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে এবং আগামী প্রজন্মকে সেই মানসিকতা নিয়ে গড়ে তুলতে হবে। ”

তিনি গত রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আয়োজনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণসভা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রকল্যাণ অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুল আলম।
এ ছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন ডিনগণের পক্ষে স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, বিভাগীয় প্রধানদের পক্ষে যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো: মিজানুর রহমান, প্রভোস্টদের পক্ষে অধ্যাপক ড. মো: মামুনুর রশীদ।
এতে ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চুয়েটের সমন্বয়ক, পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র মাহফুজুর রহমান মোহাব্বত, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে কারা নির্যাতিত চুয়েটের ইইই বিভাগের ছাত্র ইসফাক আহমেদ জীম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এমআইই বিভাগের প্রভাষক তাসমিয়া বিনতে হাই। বিজ্ঞপ্তি।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement