সোনাদিয়ায় ইকো ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণে ইজারা চুক্তি স্থগিত
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৫
কক্সবাজারের মহেশখালীতে সোনাদিয়া-ঘটিভাঙ্গা মৌজায় ইকো ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং জেলা প্রশাসকের সাথে সই করা ইজারা চুক্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ জনস্বার্থে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে রুলসহ এ আদেশ দেন। বেলার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আশরাফ আলী, সাথে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
পরে বেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরিবেশগত তাৎপর্য বিবেচনায় কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপের ৪৯১৬ হেক্টর এলাকা ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিল প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যেখানে প্রাকৃতিক বন ও গাছ কর্তন; উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংসকারী সব কার্যক্রম এবং ভূমি ও পানির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট বা পরিবর্তন করতে পারে এমন সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। পরবর্তীতে একই সালের ৩ মে অপর একটি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ২১২১ দশমিক ৯৬ একর প্রজ্ঞাপিত বনভূমিকে প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকার আওতাবহির্ভূত করা হলে বেলা তা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৩ সালের রিট করে। ওই রিটের শুনানি শেষে সোনাদিয়া দ্বীপের ৪৯১৬ হেক্টর এলাকায় ইজারা বা দ্বীপ ধ্বংসকারী সব কার্যক্রমের অনুমোদন স্থগিত করেন। এর পরও সোনাদিয়া দ্বীপের ৯৪৬৬ দশমিক ৯৩ একর যার মধ্যে ২৭১২ একর প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা এবং ৮০০১ দশমিক ৭০ একর প্রজ্ঞাপিত বনভূমি ইকো ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) ইজারা দেন। এর বিরুদ্ধে রিটের পর আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
আদেশে আদালত কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে সোনাদিয়া দ্বীপের প্রতিবেশ সঙ্কটাপন্ন এলাকায় গাছ কাটা ও চিংড়ি ঘের নির্মাণ বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে সোনাদিয়া দ্বীপের ৪৯১৬ হেক্টর ঘোষিত প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকার ও ৮০০১ দশমিক ৭০ একর প্রজ্ঞাপিত বনভূমির যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে, তা নিরূপণ করে প্রতিবেদন আকারে এবং একটি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা তৈরি করে তা ছয় মাসের মধ্যে আদালতে দাখিলের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক ও পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা