ছাত্ররা পরিষ্কার করছে বাবুবাজার ব্রিজের আবর্জনা
- শামীম হাওলাদার
- ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭
বুড়িগঙ্গায় চীন মৈত্রী দ্বিতীয় সেতু বাবুবাজার ব্রিজে রাতের অন্ধকারে ফেলা হচ্ছে বাসাবাড়ি ও কাঁচাবাজারের ময়লা-আবর্জনা। আর এসব ময়লা পরিষ্কার করছে পরিচ্ছন্ন কেরানীগঞ্জ নামে একটি ছাত্র সংগঠন। তারা নিজ উদ্যোগে রাস্তা-ঘাট ও ব্রিজ পরিষ্কারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।
সরেজমিন বুড়িগঙ্গায় চীন মৈত্রী দ্বিতীয় সেতু বাবুবাজার ব্রিজের দক্ষিণ সাইড কেরানীগঞ্জে ব্রিজের ঢালে ময়লার স্তুপ পরিষ্কার করছে ছাত্ররা। এসবে বড়ো বাধা উল্টো দিক দিয়ে চলাচলরত ব্যাটারিচালিত রিকশা। ছাত্ররা ব্রিজের যে সাইডের ময়লা পরিষ্কার করছে, সেই সাইড দিয়েই উল্টো চলছে যাত্রীবাহী অটো ভ্যান ও রিকশা। এ দিকে, ব্রিজের মাঝখানে অটোস্ট্যান্ড করে সাড়িবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে অটো ভ্যান ও রিকশা। পুলিশ পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও তা শুনছে না ওইসব চালকরা।
একাধিক ট্রাফিক পুলিশ নাম পদবি প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাবুবাজার ব্রিজে গত এক মাস ধরে যানজট লেগেই আছে। কখনো সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যানজট থাকে সেখানে। সিএনজিগুলোও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। নিষেধ করলে হুমকি দেয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। ট্রাফিক পুলিশ বলছে, একটা ব্রিজে এত ময়লা কেন ফেলা হচ্ছে, মানুষ তা বুঝতে পারছে না। সেলিম নামের এক ট্রাফিক কনস্টেবল এ প্রতিবেদককে বলেন, যাত্রীবাহী অটোভ্যান ও রিকশাচালকের কাছে অসহায় আমরা। আটক করলেই চার পাঁচজন এসে রিকশা কিংবা ভ্যানটি জোরজবরদস্তি করে নিয়ে যায়। এমনকি পুলিশকে হুমকি দেয় তারা। তিনি বলেন, ছাত্ররা যে কাজ করছেন, তাতে ওদের কাছ থেকে সমাজের প্রত্যেক মানুষের শিক্ষা নেয়া উচিত। ছাত্ররা রাস্তা, ব্রিজের ময়লা পরিষ্কার করছেন।
পরিচ্ছন্ন কেরানীগঞ্জ ছাত্র সংগঠনের সভাপতি মো: শাকিল আল নাদিম নয়া দিগন্তকে বলেন, আমাদের ঘর, আমরা আমাদের কেরানীগঞ্জকে প্রথমত স্বাস্থ্যকর একটা পরিবেশ উপহার দিতে চাই। বছরের পর বছর যেসব ময়লা- আবর্জনা রাস্তার পাশে ফেলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দূর করার জন্য এবং স্বাস্থ্যকর একটি পরিবেশ তৈরির জন্য আমরা এগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছি। এটা চলমান থাকবে। তিনি বলেন, যেখানে-সেখানে যাতে কেউ ময়লা না ফেলে এ ব্যাপারে জনসচেতনমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবো আমরা। এ ছাড়া আমাদের কেরানীগঞ্জের পাশাপাশি পুরো দেশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে অব্যাহত থাকবে। আমরা তৈরি করছি পরিচ্ছন্নতার এক নতুন দিগন্ত। আসুন, এই যাত্রায় অংশ নিয়ে আমাদের প্রকৃতিকে সুরক্ষিত ও সুন্দর করে তুলি! মানেনি হার তারুণ্য কভু প্রমাণ দেয় বরাবর, এক দিন ঘোষণা হবে পরিচ্ছন্ন দেশ আমার।
তিনি বলেন, আজ থেকে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলি, পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশে গড়তে অবদান রাখি। আসুন সকলে মিলে যুক্ত হই পরিচ্ছন্নতার যুদ্ধে। নিজেদের মন মানুষিকতা বদলায় এবং আগামী প্রজন্মকে পরিচ্ছন্ন দেশ উপহার দেই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ইস্পাহানি ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী নদী ও ইডেন কলেজের ছাত্রী ফারজানা আক্তার প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা