সবার সহযোগিতা-সমর্থনের মাধ্যমেই পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কার সম্ভব

সবার সহযোগিতা ও সমর্থনের মাধ্যমেই দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কার সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত সিকিউরিটিজ ভবনে গতকাল ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) শীর্ষ প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন। বিএসইসির নির্বাহী ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সভায় বিএসইসির পক্ষে কমিশনার মু: মোহসিন চৌধুরী, মো: আলী আকবর, কমিশনার ফারজানা লালারুখ, নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ, ডিবিএর সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতিসহ শীর্ষ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান দেশের শেয়ারবাজারের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারে প্রয়োজনীয় ও যথাযথ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, একটি সমৃদ্ধ ও সফল শেয়ারবাজার গড়তে হলে বিএসইসির সাথে সাথে শেয়ারবাজারের সাথে সম্পৃক্ত সব অংশীজন প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। সবার সহযোগিতা ও সমর্থনের মাধ্যমেই শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কার সম্ভব। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের সংস্কারের নিমিত্তে বিএসইসি টাস্কফোর্স গঠন করেছে তারা ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে।

সভায় ডিবিএর প্রতিনিধিরা দেশের শেয়ারবাজারের সার্বিক উন্নয়ন ও সংস্কার সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মতামত ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এ সময় দেশের শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও বিকাশের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও সমাধানের বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়। মত বিনিময় সভায় সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের (বিবিএ) রিপোর্টিং ও সিসিএ থেকে প্রাপ্ত মুনাফাসহ অন্যান্য বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব, শেয়ারবাজারের রেগুলেটরি কাঠামোর সংস্কার ও উন্নয়ন, শেয়ারবাজারের যথাযথ মনিটরিং ও সুশাসন নিশ্চিতকরণ, আইপিও প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয় সংস্কার, শেয়ারবাজারে সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার চালুর উদ্যোগ বাস্তবায়ন, সঠিক তথ্যের প্রবাহ নিশ্চিতসহ গুরুত্বপূর্ণ মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, মার্জিন লোনের সুদহার সংশ্লিষ্ট সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া, শেয়ারবাজারে আরোপিত কর নীতিসম্পৃক্ত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সাথে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া এবং শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি ইত্যাদি প্রস্তাবনা উঠে আসে।
সভায় শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধির মাধ্যমে গঠনমূলক ও টেকসই সংস্কার সাধনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়। সর্বোপরি দেশের শেয়ারবাজারের সংস্কার ও উন্নয়নে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।