স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকেই প্রথমে দুর্নীতি দূর করতে চান ডিজি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৪
নিজ অফিস থেকেই দুর্নীতি দূর করার প্রথম কাজটি করতে চান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা: মো: নাজমুল হোসেন। তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের দক্ষতার অভাব রয়েছে। একজনের অদক্ষতা আরেকজনের দুর্নীতির কারণ হতে পারে। সেজন্য এ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
অধ্যাপক নাজমুল হোসেন বলেন, চিকিৎসকদের মধ্যে দুর্নীতি পেলে মানুষ অনেক বেশি কষ্ট পায়। দুর্নীতি দূর করতে প্রতিরোধব্যবস্থা নিতে হবে, কিন্তু একই সাথে দুর্নীতি করলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থাও থাকবে, এটা দুর্নীতি প্রতিরোধ ব্যবস্থারই অংশ।
ডেঙ্গু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা কেবল ডেঙ্গুর মৌসুমে এটা নিয়ে কথা বলি। কিন্তু ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত অফ সিজনে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। এ বছর আমরা ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গুর লার্ভা ধ্বংসে কাজ করব। এটা করতে পারলে আগামী মৌসুমে ডেঙ্গুর ব্যাপকতা কমে যাবে।
নব গঠিত ‘সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশ’ নামক চিকিৎসকদের একটি সংগঠনের উদ্যোগে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘অপ্রতুল বাজেট দুর্নীতির বেড়াজাল : স্বাস্থ্যখাতের রুগ্নদশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অধ্যাপক নাজমুল হোসেন এসব কথা বলেন।
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা: কাজী সাইফুদ্দিন বেন নূরের সভাপতিত্বে বৈঠকের সঞ্চালনা করেন ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফিশিয়াল সার্জন ডা: সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা: শাকুর খান। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত অথবা স্বাস্থ্যের রূগ্নদশা বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট আলোকচিত্রী দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহীদুল আলম, সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী মনি, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের সাবেক কর্মকর্তা ডা: সৈয়দ উমর খৈয়াম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষক শফিউল নাহির শিমুল, ডা: রফিকুল ইসলাম, বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: মো: আতিয়ার রহমান, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা: এমএইচ চৌধুরী লেলিন, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি প্রমুখ।
শহীদুল আলম বলেন, ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনার কিট অনুমোদন পায়নি একজন দরবেশের কারণে। দরবেশ বাবা (সালমান এফ রহমান) ডা: জাফরুল্লাহকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ‘একসাথে ব্যবস্থা করার জন্য’। দরবেশের সাথে ব্যবসা করলে কমদামে মানুষকে কিট সরবরাহ করতে পারবেন না বলে ডা: জাফরুল্লাহ সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। ফলে করোনার ২৫০ টাকার কিটও বাজারজাত করতে পারেননি তিনি।
তিনি বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী একটি দেশের স্বপ্ন দেখি। আমরা সবার সমালোচনা করি কিন্তু নিজের জায়গা থেকে কি করতে পারব তা বলি না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা