অস্থিরতায় পুঁজিবাজারে কমছে স্থানীয় ও প্রবাসীদের বিনিয়োগ
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
- ৯ মাসে বিনিয়োগকারী কমেছে ৯৮ হাজারের বেশি
- ব্যালেন্স শূন্য বিও হিসাব এখন ২৪ হাজার ৪৩২টি
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকে কেন্দ্র করে দেশের পুঁজিবাজারে কমেছে স্থানীয় ও প্রবাসীদের বিনিয়োগ। গত জানুয়ারি থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ৯ মাস ১০ দিনে দুই ধরনের বিনিয়োগকারীর বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব সংখ্যা ৯৮ হাজার ৪৪৬টি কমেছে বলে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) এর হালনাগাদ তথ্য থেকে জানা গেছে। এদিকে শূন্য বিও হিসাব এখন ২৪ হাজার ৪৩২টি বলে জানা গেছে।
দেশে বর্তমানে মোট বিও হিসাবের সংখ্যা হলো ৭৯ লাখ ২৯ হাজার ৭৪টি। গত জানুয়ারিতে ছিল ৭৮ লাখ ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। ফলে গত ৯ মাস ১০ দিনে এই বিও’র সংখ্যা কমেছে ৬৩ হাজার ৫০৫টি। গত কয়েক মাস ধরে পুঁজিবাজারে বেশ অস্থিরতা বিরাজ করছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর গত দুই মাসে বিদেশী ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের মিলে চলমান বিও হিসাবের সংখ্যা বাড়ছে ৬ হাজার ৯৭৬টি। এখানে স্থানীয় হিসাব বেড়েছে সাত হাজারের বেশি। কিন্তু প্রবাসীদের সংখ্যা কমেছে ১১৮টি।
সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, ৯ অক্টোবর শেষে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ৩১৯টি। যা হাসিনা সরকার পতনের সময় ছিল ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫৮টি। এ হিসাবে হাসিনা সরকার পতনের পর শেয়ারবাজারে বিও হিসাব বেড়েছে ৭ হাজার ২৬১টি। এ দিকে বর্তমানে শেয়ারবাজারে যে বিনিয়োগকারীরা আছেন, তার মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ১২ লাখ ৫৫ হাজার ৩২৩টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩৪টি। অর্থাৎ হাসিনা সরকার পতনের পর পুরুষ বিনিয়োগকারীদের হিসাব বেড়েছে ৬ হাজার ৮৮৯টি।
অন্য দিকে বর্তমানে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২ হাজার ৬৭১টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ২ হাজার ৪৭২টি। এ হিসাবে হাসিনা সরকার পতনের পর নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ১৯৯টি। সরকার পতনের পর নারী ও পুরুষ বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি কোম্পানির বিও হিসাবও বেড়েছে। বর্তমানে কোম্পানি বিও হিসাব রয়েছে ১৭ হাজার ৩২৫টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ১৫২টি। সে হিসাবে গত দুই কোম্পানি বিও হিসাব বেড়েছে ১৭৩টি।
উল্লেখ্য, বিও হলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্রোকারেজ হাউজ অথবা মার্চেন্ট ব্যাংকে একজন বিনিয়োগকারীর খোলা হিসাব। এই বিও হিসাবের মাধ্যমেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে লেনদেন করেন। বিও হিসাব ছাড়া শেয়ারবাজারে লেনদেন করা সম্ভব নয়। বিও হিসাবের তথ্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)।