বিএসইসি চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করলেন বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা

‘অযোগ্য বিএসইসির চেয়ারম্যান হটাও, দেশের পুঁজিবাজার বাঁচাও’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। দেশের পুঁজিবাজারে টানা পতনের প্রতিবাদে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে বিএসইসি ভবন ঘেরাও করে রেখেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তারা। বিনিযোগকারীরা এক দফা দাবিতে শ্যামলী-আগারগাঁও সড়ক আটকে দেন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিনিয়োগকারীরা রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিএসইসি ভবনের সামনে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পতদ্যাগের দাবিতে অবস্থান নিলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এর আগে সকালের বৃষ্টি উপেক্ষা করে সাধারণ বিনিয়োগকারীর ব্যানারে ডিএসইর পুরাতন ভবনের সামনে মানববন্ধন করছেন তারা। মানববন্ধন শেষে বিএসইসির উদ্দেশ্যে লংমার্চ কর্মসূচির মাধ্যমে বিএসইসি ভবনের সামনে জড়ো হন তারা।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে বিনিয়োগকারীরা মূল সড়ক থেকে পাশে অবস্থান নেন। বিনিয়োগকারীরা পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। তবে বিনিয়োগকারীদের একদফা দাবি বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ। তারা বলছেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবে না।
বিনিয়োগকারীরা বলেন, মার্কেট বর্তমানে যে পর্যায়ে নিয়েছে, সে পর্যায় থেকে মার্কেটকে উত্তোলন করতে হবে। তারা বলেন, কোনো কোম্পানি যদি ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হতো সেই কোম্পানি জেড ক্যাটাগরিতে চলে যেত। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান কিছু কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে নিয়ে মার্কেটকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন আমাদের মূল দাবি অপদার্থ, অথর্ব, অজ্ঞানী ও বিবেকহীন এই মাকসুদের পদত্যাগ চাই। এই লোকটা কোন কথা যানে না, সে যেনতেনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়। এই লোকটার ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আমরা পথে বসে গেছি। তারা আরো বলেন, এই অপদার্থ মাকসুদের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমরা বাড়ি ফিরে যাবো না। এ সময় বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, তুমি কে আমি কে? বিনিয়োগকারী, বিনিয়োগকারী, মাকসুদের দুই গালে জুতা মারো তালে তালেসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে, বিনিয়োগকারীদের সাথে আলোচনায় বসতে বিনিয়োগকারীকে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তবে তার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন বিনিয়োগকারীরা।