সিএসইর নতুন চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির (সিএসই) পরিচালনা পর্ষদ এ কে এম হাবিবুর রহমানকে এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট. ২০১৩ অনুযায়ী এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে। এক্সচেঞ্জের স্বতন্ত্র পরিচালকরা এবং শেয়ারহোল্ডার পরিচালকরা গতকাল অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য নির্বাচিত করেন। হাবিবুর রহমান সিএসই চেয়ারম্যান হিসেবে আসিফ ইব্রাহিমের স্থলাভিষিক্ত হলেন উল্লেখ করে সিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সব স্বতন্ত্র পরিচালকের পদত্যাগের পর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সাতজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করে। বিএসইসির অফিস আদেশ অনুযায়ী আলমগীর মোর্শেদ, প্রফেসর ড. মো: সাইফুল ইসলাম, এ কে এম হাবিবুর রহমান, ডা: মাহমুদ হাসান, এম. জুলফিকার হোসেন, নাজনীন সুলতানা, এফসিএ এবং ফরিদা ইয়াসমিন স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। তাদের মধ্যে আলমগীর মোর্শেদ স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেন।
একেএম হাবিবুর রহমান : এ কে এম হাবিবুর রহমান, সিনিয়র সিভিল সার্ভিস অফিসার হিসেবে তার কর্মজীবনে বিশেষ করে টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরে কর্মরত অবস্থায় বিভিন্ন ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সফলভাবে পরিচালনা করেছেন। তিনি বিসিএস (ইঞ্জিনিয়ারিং : টেলিকমিউনিকেশন) অফিসার হিসাবে ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ অ্যান্ড টেলিফোন বোর্ডে (বিটিটিবি) যোগদান করে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিটিটিবিতে বিভিন্ন পদে সফলভাবে কাজ করেছেন। এরপর, তিনি বিটিসিএল-এ উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিডিরেনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে এবং টেলিযোগাযোগ অধিদফতরে মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট থেকে এমবিএ করেন। তার চাকরি জীবনে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সেরা প্রশিক্ষণার্থী হওয়ার জন্য ‘রেক্টর পদক’ এবং ‘ইন্টিগ্রিটি প্রাইজ-২০২০’ অর্জন করেন । এ ছাড়াও তিনি দেশে-বিদেশে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সেমিনারেও গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
তার চাকরি জীবনে, তিনি টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেন্স কোম্পানি লিমিটেড, টেলিফোন শিল্প সংস্থা লিমিটেড, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড এবং অ্যাসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অফ বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদে যোগদান করেন। তিনি ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি), অফিসার্স ক্লাব, ঢাকার সদস্য এবং আইবিএ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা