আমতলীতে ছাত্রলীগ নেতার অস্ত্রের আঘাতে যুবদল নেতা জখম

জলমহলের মাছ শিকার করতে গিয়ে আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি মাহবুবুল ইসলামের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা ধারাল অস্ত্র দিয়ে চাওড়া ইউনিয়ন যুবদল বহিস্কৃত আহ্বায়ক আব্দুল মোমেন আকনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত মোমেনকে স্থানীরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের ২০ একর কাউনিয়া জলমহল গত ১০ বছর ধরে উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি মো: মাহবুবুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা অবৈধভাবে দখলে নিয়ে মাছ চাষ করে আসছে। বৃহস্পতিবার ওই জলমহলের মাছ চাওড়া ইউনিয়ন যুবদল বহিস্কৃত আহ্বায়ক আব্দুল মোমেন ২০-২৫ জন সহযোগী নিয়ে মাছ শিকার যায়। এতে উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা বাঁধা দেয়। একপর্যায় বহিস্কৃত যুবদল আহ্বায়ক আব্দুল মোমেনকে মাহবুবুল ইসলাম ও তার লোকজন কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাদের ধারালো অন্ত্রের আঘাতে মোমেনের দুই পা গুরুতর জখম হয়। গুরুতর আহত যুবদল নেতাকে স্থানীয়রা উদ্ধার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান খাঁন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, চাওড়া ইউনিয়ন যুবদল বহিস্কৃত আহ্বায়ক আব্দুল মোমেন ২০-২৫ জন সহযোগী নিয়ে কাউনিয়া জলমহলের মাছ শিকার করে। এতে উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা বাঁধা দেয়। একপর্যায় মোমেনকে ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম ও তার লোকজন কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।

চাওড়া ইউনিয়ন যুবদল বহিস্কৃত আহ্বায়ক আব্দুল মোমেন আকন বলেন, কাউনিয়া খাল উন্মুক্ত করতে গেলে উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা আমাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবি করছি।
আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি মাহবুবুল ইসলামকে ঘটনা জানতে তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি রাগান্বিত স্বরে বলেন, আমাকে এই মুহূর্তে ডিস্টার্ব কইরেন না। আমি ব্যস্ত আছি।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মনিরুজ্জামান খান বলেন, আহত মোমেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার দুই পায়ে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।