১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

পিরোজপুরে সাবেক পুলিশ সুপার-ওসিসহ ৪ পুলিশের নামে মামলা

পিরোজপুরে সাবেক পুলিশ সুপার-ওসিসহ ৪ পুলিশের নামে মামলা - ছবি : নয়া দিগন্ত

পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন তালুকদার কুমারকে বেআইনীভাবে থানায় ৩৮ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতনের পর অস্ত্র দিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার অভিযোগে পিরোজপুরের সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান এবং সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির মোহাম্মদ হোসেনসহ চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। এই মামলায় আরো চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শুনানী শেষে বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।

গত ২৮ আগস্ট জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন তালুকদার কুমার পিরোজপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটির পর শুনানী শেষে বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহা: হেলাল উদ্দিন এ আদেশ দেন।
মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন, সদর থানার সাবেক সেকেন্ড অফিসার এসআই মো: মনিরুল ইসলাম এবং ইন্সপেক্টর মো: জুলফিকার আলী। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে পিরোজপুর পৌরসভাধীন উত্তর কৃষ্ণনগর বাড়ির সামনের রাস্তার ওপর থেকে সাদা পোষাকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে আটক করে। এরপর রাত ১২টার দিকে তাকে টহল পুলিশের কাছে হস্তাস্তর করা হয়। পরের দিন ভোরবেলা পুলিশ সদস্যরা হাতকড়া পড়ানোর পর কালো কাপড় দিয়ে তার দুই চোখ বেধে ফেলে। এরপর মামলার প্রধান আসামি সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির মোহাম্মদ হোসেন থানার গারদের সামনে তাকে বেত দিয়ে মারাত্মকভাবে পিটাতে থাকে। দুই-তিন মিনিট পিটানোর পর কুমার নিস্তেজ হয়ে পড়লে আবির তাকে পা দিয়ে পাড়াতে থাকে। ওই দিন থানায় আটক থাকা সকলকে আদালতে পাঠানো হলেও কুমারকে থানায় রাখা হয়। এরপর তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র আছে এই ধরণের স্বীকারোক্তি দেয়ার জন্য আবির তাকে চাপ দিতে থাকে। তাতে রাজি না হওয়ায় প্রচন্ড শীতের মধ্য খালি গায়ে থানার গারদের মধ্যে কুমারকে শুইয়ে রাখা হয়। এরপর ওই দিন রাতে পুনরায় হাতকড়া পড়িয়ে চোখ বেঁধে গাড়িতে তুলে তার বাড়ির কাছে একটি কবরস্থানে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর সেখান থেকে একটি অস্ত্র বের করে সেটি কুমারের হাতে ধরিয়ে দিয়ে ছবি তোলে পুলিশ।

পরে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দিয়ে কুমারকে পরের দিন আদালতে পাঠানো হয়। কুমার জানান, তাকে থানার মধ্যে নির্মমভাবে নির্যাতন করে মিথ্যা মামলায় আসামি করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। দীর্ঘ চার মাস কারাভোগের পর সে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। পুলিশের মতো একটি দায়িত্বশীল বাহিনীতে আবিরের মতো অসৎ কর্মকর্তাদের দ্বারা নির্মম নির্যাতনের বিচার পাওয়া জন্য তিনি আদালতে মামলার করেছেন।

এ ব্যাপারে কুমারের আইনজীবী আকরাম আলী মোল্লা জানান, গত ২৭ আগস্ট মামলাটি করা হয়েছিল। বুধবার শুনানী শেষে বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে। তার প্রত্যাশা এ মামলাটি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বাদি ন্যায় বিচার পাবে।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় ইসরাইলি হামলায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী নিহত সরকারে গেলে জনগণের ওপর জোর করে কোনো কিছু চাপিয়ে দেবে না জামায়াত : ডা: তাহের নিয়মনীতির তোয়াক্কা নেই মাছের ঘেরে বিলীন সড়ক শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু ও শাহরিয়ার কবীর গ্রেফতার : রিমান্ড ঢাবিতে দলীয় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ চান ৮৩.৮% শিক্ষার্থী মাথায় পুলিশের আঘাতে বাকরুদ্ধ শরীফুল, ভেঙেছে হাঁটুও মাদক গডফাদারদের ধরার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ছাত্র আন্দোলনে সবচেয়ে নির্মম হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার আগে হবে : চিফ প্রসিকিউটর ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ৩০ বছরে পদার্পণ মির্জা আব্বাসকে হত্যাচেষ্টা মামলায় রাশেদ খান মেনন ৩ দিনের রিমান্ডে

সকল