০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

বরিশালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ৪ দাবি

- ছবি : নয়া দিগন্ত

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও নানা বাস্তবতায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি নেই বলে জানিয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক সুজয় বিশ্বাস শুভ।

শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

লিখিত সংবাদ সম্মেলন পাঠকালে সুজয় বিশ্বাস শুভ আরো বলেন, গত ১ জুলাই থেকে সারাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায় আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি। আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত কোটা সংস্কারের পক্ষে রায় প্রদান করেন এবং সরকারের নির্বাহী বিভাগ তা অনুসরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

তিনি আরো বলেন, আমরা বরাবরই শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন করে আসছিলাম। কিন্তু আন্দোলন চলাকালীন সময়ে দেশব্যাপী নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের অনেক ভাই-বোন আহত ও নিহত হয়েছে। নির্বাহী বিভাগ আমাদের কোটা সংস্কারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে যে সমাধন করেছে, আমরা মনে করি যে তাতে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে।

তবে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের দাবির পাশাপাশি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপটে কিছু দাবি রয়েছে। আমাদের দাবিসমূহ হলো,
১। অনতিবিলম্বে হল খুলে দিতে হবে।
২। বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ জনগণকে কোনো ধরনের মামলা বা হয়রানি করা যাবে না।
৩। শিক্ষার্থীদের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক কোনো ধরনের হয়রানি করা যাবে না।
৪। ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও ক্যাম্পাস খোলার পর ক্যাম্পাসের নিরাপদ এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

এই সমন্বয়ক বলেন, নির্বাহী বিভাগ আমাদের কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে। আমরা অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী এবং আমাদের উপর্যুক্ত দাবিসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি। এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ও নানা বাস্তবতায় আমাদের কোনো কর্মসূচি নেই। সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা আমাদের পরবর্তী করণীয় আপনাদের জানাব।

তিনি আরো বলেন, পরিশেষে আমরা দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করছি যে সন্ত্রাস ও সহিংসতার সাথে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং এটাকে আমরা ঘৃণা করি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কোটা সংস্কারের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে থাকা মাহমুদুল আলম রাজিব, ভূমিকা সরকার, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement