০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
সড়ক অবরোধ, থানা ঘেরাও

পাথরঘাটায় বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় লাশ নিয়ে মিছিল, আটক ৭

পাথরঘাটায় বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় লাশ নিয়ে মিছিল, আটক ৭ - ছবি : নয়া দিগন্ত

বরগুনার পাথরঘাটায় পূর্বসত্রুতার জের ধরে চরদুয়ানী ইউনিয়নের একচল্লিশ ঘর এলাকায় বৃদ্ধ শহিদুল ইসলাম হাওলাদারকে (৫৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় লাশ নিয়ে থানা ঘেরাও ও সড় অবরোধ করে বিচার চেয়েছেন ওই পরিবার।

রোববার (৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লাশ ময়নাতদন্তের পর নিহত শহিদুলের স্বজন ও এলাকাবাসী পাথরঘাটা শহরে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে শেখ রাসেল স্কয়ার বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে। পরে পাথরঘাটা থানা ঘেরাও করে রাখেন।

এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ চরদুয়ানী গ্রামের শহিদুলের ওপর হামলার ঘটনার পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। পরে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিলে রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরে পাথরঘাটা থানা পুলিশ অভিযোন চালিয়ে হত্যার সাথে জরিত থাকা সন্দেহে সাতজনকে আটক করেছে।

শহিদুল ইসলাম চরদুয়ানী ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদুয়ানী গ্রামের মরহুম বাহার আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন জেলে শ্রমিক।

আটককৃতরা হলো উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরদুয়ানী এলাকার মো: সগির হাওলাদারের ছেলে মো: সুমন (২২), খলিলুর রহমানের ছেলে নাজমুল (১৮), লাল মিয়া হাওলাদারের ছেলে রাসেল (২০), মরহুম আর রশিদের ছেলে খলিলুর রহমান (৫৫), আফজাল মল্লিকের ছেলে রিমন মল্লিক(১৯), লাল মিয়া হাওলাদারের ছেলে হারুন হাওলাদার (৪৯) ও মরহুম সিদ্দিক বিশ্বাসের ছেলে নাসির বিশ্বাস (৩০)।

নিহত শহিদুল ইসলামের ছোট ভাই নাসির জানান, কয়েক মাস আগে জাকির বিশ্বাস, নাসির বিশ্বাস, রুবেল বিশ্বাস, সোবহান বিশ্বাস, মুসা, ইসা, সোহেল বিশ্বাস, সোহেল, বাবু, আবুল, আলাউদ্দিন ও আরাফাতসহ বেশ কযয়েকজন মিলে তার ভাই শহিদের মেয়ে তানিয়ার ঘর আগুনে দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে পাথরঘাটা থানায় মামলা করলে কিছুদিন আগে আমার ওপর হামলা করে বাম হাত ভেঙে দেয়। পরে আমার ওপর হামলার ঘটনায় আবারো থানায় মামলা করলে আমার বড় শহিদের ওপর হামলা করে কুপিয়ে হত্যা করে। এ নিয়ে মামলা চললেও কোনো বিচার পাননি বলে অভিযোগ করেন নাসির হাওলাদার।

পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন জানান, নিহতের স্বজনরা লাশ নিয়ে মিছিল করে থানায় অবস্থান করে। অভিযুক্তদের অতিশীঘ্রই গ্রেফতারের আশ্বাসে তারা লাশ নিয়ে বাড়িতে চলে যায়।

বরগুনা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো: জহুরুল ইসলাম হাওলাদার জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে হত্যার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে সাতজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement