০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫
`

পিরোজপুরে যুবককে হত্যার দায়ে ৭ জনের যাবজ্জীবন

পিরোজপুরে যুবককে হত্যার দায়ে ৭ জনের যাবজ্জীবন - ছবি : নয়া দিগন্ত

পিরোজপুরের নাজিরপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে হত্যার দায়ে এক মুক্তিযোদ্ধাসহ সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

একইসাথে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ১০ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: মোক্তাগীর আলম সকল আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার হাতেম আলী শেখের ছেলে দেলোয়ার শেখ (৪৮), আফসার আলী শেখের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক শেখ (৭১), হাসেম শেখের ছেলে আবুল শেখ (৫৮), মোজাম মল্লিকের ছেলে বাবুল মল্লিক (৪৯), সিরাজুল হক শেখের ছেলে রাজু শেখ (৩১), সিরাজুল হক শেখের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫৮), বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার রসুল শেখের ছেলে জাফর শেখ (৫৮)।

খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন জহুর শেখ, হাজেরা খানম, ইমারত খান, রাবেয়া বেগম, সোহাগ খান, সুমন খান, মঞ্জু বেগম, বাবু মীর, আবদুর রব শেখ ও জাফর শেখ।

এ হত্যা মামলা চলাকালীন রাজ্জাক মল্লিক ও হাতেম আলী শেখ নামে দুই আসামির মৃত্যু হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মামলার বাদি রাজু খান ও তার ভাই জসীম খান নাজিরপুর উপজেলার পাতিলাখালি গ্রামের তাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে সামনের রাস্তায় যাচ্ছিলেন। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তারা জীবন রক্ষার্থে দৌড়াইয়া ঘরে উঠতে গেলে ঘরের সামনে আসামি হাতেম আলী শেখ ও আসামি দেলোয়ার সেখ বাদি রাজু খানের ভাই জসীমকে হত্যার উদ্দেশে হাতে থাকা দা দ্বারা মাথায় কোপ দিয়ে জখম করলে জসীম মাটিতে পরে যায়। পরে আসামিরা জসীমকে লোহার রড ও লাঠি দ্বারা পিটাইয়া মারাত্মক জখম করে। এ ঘটনার পরে তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে আসামিরা অচেতন জসীমকে টানিয়া আসামি হাতেম শেখের ঘরের বারান্দায় নিয়া আটকে রাখে। প্রতিবেশী রেজবী খান জসীমের চাচাত ভাই ওয়াহিদুজ্জামানকে ফোনে ঘটনা জানালে তিনি স্থানীয় থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ সময় জসীমকে আসামি হাতেম আলী শেখের ঘর থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জসীমকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসামি জহুর শেখ, দেলোয়ার শেখ, হাতেম আলী শেখ, সিরাজ শেখ ও রব শেখকে আটক করে। এ ঘটনায় ওই দিনই নিহত জসীমের ভাই রাজু খান ২২ জনকে আসামি করে নাজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে এ ঘটনায় ২০১১ সালের ৭ আগস্ট নাজিরপুর থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মালেক হাওলাদার ১৯ জনকে আসামি করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) জহুরুল ইসলাম জানান, ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত সকল আসামির উপস্থিতিতে আজ এই রায় দেন। তদন্ত প্রতিবেদনে আসা ১৯ জন আসামির মধ্যে মামলা চলাকালীন দুজন আসামির মৃত্যু হয়। বাকি ১৭ জনের মধ্যে সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ জনকে খালাস দেন আদালত। আসামি পক্ষের আইনজীবী কাজি ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমরা এ রায়ে সন্তোষ্ট নই। এ রায়ের বিপক্ষে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।


আরো সংবাদ



premium cement
মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের রায় বহাল প্রেমের টানে চুয়াডাঙ্গায় ভারতীয় নারী, পতাকা বৈঠকের পরে হস্তান্তর রংপুরে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে ৩ জনের মৃত্যু প্রথমবার ভোটার হওয়া অভিবাসীদের আশা দিচ্ছে ব্রিটেনের নির্বাচন পুঠিয়ায় পরকীয়ার অভিযোগে সাবেক স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা ঝড় হতে পারে ৮ অঞ্চলে মহাদেবপুরে অটোরিকশায় চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু মোগলদের ৪০০ বছর আগের যে নিয়ম আজ বদলে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বন্দী বিনিময়ের জন্য চাপ দিচ্ছে আফগানিস্তানের তালেবান অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে ফিলিস্তিনপন্থী ব্যানার উত্তোলন বিক্ষোভকারীদের আবারো অজগরের পেটে মানুষ

সকল