এসআই পরিচয়ে ৮ বিয়ে!
- আল-আমিন হোসাইন, নাজিরপুর (পিরোজপুর)
- ২৯ জুন ২০২৪, ১৮:৪৩
পড়াশুনায় চতুর্থ শ্রেণি পাশ। কিন্তু পরিচয় দেন পুলিশের এসআই গোয়েন্দা (ডিবি)! আবার মাঝে মাঝে ডিএসবি পরিচয় দিয়ে প্রথমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে লুটে নেয় টাকা, স্বর্ণসহ মূল্যবান সামগ্রী।
এভাবেই পরিচয় দিয়ে সম্প্রতি ৮তম বিয়ে করেন মনির ওরফে এসআই আমিনুল ইসলাম নামের এক প্রতারক।
প্রতারক মনির পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার ৫ নম্বর শাখারিকাঠী ইউনিয়নের ঘোপের খাল গ্রামের ময়ূর শেখের ছেলে।
জানা যায়, প্রতারক মনির সম্প্রতি রোকেয়া আক্তার দীনা (৪৮) নামের এক মহিলার সাথে দুই বছর ধরে ভুয়া পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে ৮তম বিবাহ করে।
দিনার বর্তমান বাড়ি ঢাকার শ্যামপুর থানার ধোলাইপাড় এলাকার যুক্তিবাদী মসজিদ-সংলগ্ন এলাকার নিজস্ব বাড়ি দিনা ভিলা ৫৮/ক।
মূলত দিনা গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মরহুম আব্দুল মোতালেব শেখের মেয়ে। দিনার পূর্বের স্বামী মরহুম আলমগীর হোসেন, তিনি করোনাকালীন সময় মৃত্যুবরণ করেন। তার বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুর এলাকায়।
ভুক্তভোগী দিনা জানান, আমি ২০ বছর কুয়েত ছিলাম। করোনোর সময় দেশে আসি। দেশে আসার কিছুদিন পর আমার স্বামী মারা যায়। আমার পাঁচ মেয়ে বিবাহ দিয়ে আমি অভিভাবকহীন হয়ে পড়ি । তখন মেয়েদের সাথে আলোচনা করে একাকীত্ব দূর করতে আগের পরিচিত প্রতারক (এসআই আমিনুল ইসলাম) ওরফে মনিরকে বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকেই মনির নানা সময় নানাভাবে আমার কাছ থেকে নগদ অর্থ ব্যবহৃত স্বর্ণ তিন ভরি, আমার বাড়ির দলিল, বিয়ের কাবিননামাসহ মোট পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
গত ২৫ জুন আমাকে আমার মালামাল, টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে নাজিরপুর আসতে বললে আমি চলে আসি। সেদিন রাতে আমার ওপর নির্মম অত্যাচার চালায়। মারধর করে রাতে আমাকে রাস্তায় ফেলে রাখে। স্থানীয়রা হাসপাতালে ভর্তি করে রেখে যায়। এক ভ্যানচালকের মাধ্যমে মনিরের বাড়ির খোঁজ পেয়ে এখানে আসি। আমার সাথে প্রতারণা ও নির্যাতনের বিচার চাই।
মনিরের বাবা মো: ময়ুর শেখ ছেলের কু-কৃতির কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনিও বিচার চান এমন প্রতারক ছেলের।
ছেলের বিয়ে সম্পর্কে তিনি জানান, প্রথম স্ত্রী দুই সন্তানসহ ঢাকায় কাজ করেন। এভাবে একে একে আটজন স্ত্রীর আছে মনিরের। মনির ছোট বেলা থেকে দুরন্ত প্রকৃতির লোক। এবার যদি ছেলে মনির ভালো না হয় এলাকাবাসীদের নিয়ে নিজে জেলে দিয়ে আসবেন।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শাহ আলম হাওলাদার জানান, এখনো কোনো অভিযোগ পাই নাই, পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা