১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মির্জাগঞ্জে এবারের কোরবানির চামড়ার দাম বেড়েছে 

-

  1. পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে গত বছরের চেয়ে এবারে কোরবানির ঈদে চামড়ার দাম কিছুটা বেড়েছে। এবারে আড়ৎদারের কাছে দাম পেতে শুরু করেছে খুচরা বিক্রেতারাও।

মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে এসে ফিরছেন হাসিমুখে। কিন্তু গতবারে কেঁদেছেন অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এবারের চামড়া প্রতি দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। যা গত বছর ছিল ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এবারে তা দাঁড়িয়েছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।

মির্জাগঞ্জের ব্যবসায়ী মো: ইলিয়াস হোসেন খাঁ জানান, ‘গত বছরের চেয়ে এবারে কোরবানির চামড়ার দাম বেশি। এবারে আমি কোরবানির ৭০০ চামড়া ক্রয় করেছি স্থানীয় ও খুচরা পাইকারদের কাছ থেকে। গত বছরের চেয়ে প্রকার ভেদে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি দামে কিনতে হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন,  ‘এবার গরুর চামড়া বিক্রি করে হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়নি কোনো বিক্রেতাকে। চামড়ার সাইজ যেটা ভালো, সেটা আর একটি বেশি দিতাছে দাম।’

চামড়ার আকার ও অবস্থা দেখে দাম নির্ধারণ করছেন আড়ৎদাররা।  বড় আকারের চামড়া কিনতে আড়ৎদাররা ৪৫০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত গুনছেন। কোরবানির চামড়ার ক্রয়ের পরে পরিস্কার করে তা লবন দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

আড়ৎদার ও বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে, এই দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি। তাই বিক্রেতাদের আগ্রহও বেশি। 

উল্লেখ্য, এবার সরকারিভাবেও চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে৷ লবনযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। যা গত বছর ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আলাউদ্দিন মাসুদ জানান, ‘উপজেলায় এবারে কোরবানির জবাইকৃত পশুর সংখ্যা গাভী/বলদ ২৮০টি, ষাড়/বলদ ৪৪১০টি ও মহিষ সংরক্ষণ এবং ছাগল-ভেড়া- অন্যন্যে -৩৫৩০টিসহ মোট ৮২১০টি পশু।’

তিনি আরো বলেন, ‘এবারের উপজেলা পশু হাটগুলোতে সার্বক্ষণিক ডাক্তার নিয়োজিত ছিলেন। যাতে রোগাক্রান্ত পশু বিক্রি করতে না পারে কোনো ক্রেতা। কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক প্রচার করা হয়। তবে খুচরা বিক্রেতা ও পাইকারি এবং মৌসুমি  ব্যবসায়ীরা এবারের কোরবানির চামড়ার দাম বেশি পাওয়ায় খুশি তারা।’


আরো সংবাদ



premium cement

সকল