বরগুনায় ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে আদালতে মামলা
- গোলাম কিবরিয়া, বরগুনা
- ১৩ জুন ২০২৪, ২২:২২
বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলায় দশম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে এ মামলাটি করা হয়। পাঁচ বখাটে অপহরণ করে বলে অভিযোগে পাওয়া যায়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে অপহরনের এ ঘটনা ঘটে আমতলী উপজেলার পুজাখোলা গ্রামে।
আদালতে অপহরণ মামলাটি হয়েছে বখাটে মিরাজ ফরাজী (১৯), ইমরান (২৫) ও মো: হেলালসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলাম এ মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গন্য করতে নির্দেশও দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার আমতলী উপজেলার পুজাখোলা গ্রামের দশম শ্রেণিতে মাদরাসার এক ছাত্রীতে বখাটে মিরাজ ফরাজী দীর্ঘদিন ধরে উত্যাক্ত করে আসছে। গত মঙ্গলবার রাতে ছাত্রীটি প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘরের বাইরে বের হয়। এ সময় ওঁৎ পেতে থাকা বখাটে মিরাজ ফরাজী তার সহযোগী ইমরান ও হেলালসহ পাঁচজন ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে অপহরণ করে নিয়ে যায়। গত তিন দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ অপহৃতাকে উদ্ধার করতে পারেনি। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার অপহৃতার বাবা মিরাজ ফরাজীকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের নামে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে অপহরণ মামলা করেছে। আদালতের বিচারক মো: রফিকুল ইসলাম মামলাটি গ্রহনণ করে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গন্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদি বলেন, ‘আমার মেয়েকে বখাটে মিরাজ ফরাজী বেশ কয়েকদিন ধরে উত্যাক্ত করে আসছে। আমার মেয়ে বখাটে মিরাজ ফরাজীর প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় অপহরণ করে নিয়েছে। আমি আমার মেয়েকে উদ্ধারসহ অপরাধীদের শাস্তি দাবি করছি।
মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল ওয়াসী মতিন বলেন, আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গন্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি (তদন্ত) আমির সেরনিয়াবাদ বলেন, আদালতের আদেশের নথিপত্র এখনো হাতে পাইনি। আমরা আদেশ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা