১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বরগুনায় নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে

বরগুনায় নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঢাকার বারডেম হাসপাতালের এক নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে বরগুনার আমতলী থেকে কচুপাত্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এ বি এম জাকারিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সোমবার (১০ জুন) দুপুরে তাকে ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এ সোপর্দ করা হয়। আদালতের বিচারক শাহরিয়ার কবির তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর এ নির্দেশ দেন।

এ বি এম জাকারিয়া বরগুনার তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষক জাকারিয়া ঢাকার বারডেম হাসপাতালে এক নার্সকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নার্সের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়। এরপর জোরপুর্বক ওষুধ খাইয়ে ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর ভ্রণ হত্যা করে। এরপর থেকে ওই নার্সের সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চলতি বছরের ১৯ মে ওই নার্স ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ স্কুল শিক্ষক এ বি এম জাকারিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। আদালতের বিচারক শাহরিয়ার কবির মামলাটি আমলে নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন।

আদালতের আদেশ মতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেন। রোববার রাতে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ আমতলী থানা পুলিশের সহায়তায়।

অভিযান চালিয়ে এ বি এম জাকারিয়াকে আমতলী পৌর শহরের একে স্কুল এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করেন। সোমবার দুপুরে পুলিশ জাকারিয়াকে ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করেছেন। আদালতের বিচারক শাহরিয়ার কবির আসামি জাকারিয়ার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ধর্ষক এ বি এম জাকারিয়া তালতলী উপজেলার হুলাটানা গ্রামের সেকান্দার আলী হাওলাদারের ছেলে।

ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারী বলেন, এ বি এম জাকারিয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেছে। এতে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাই। পরে আমাকে জোর করে ওষুধ খাইয়ে ভ্রণ হত্যা করেছে। এরপর থেকে আমার সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি লম্পট এ বি এম জাকারিয়ার শাস্তি দাবি করছি।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান বলেন, আমতলী থানা পুলিশের সহায়তায় একটি ধর্ষণ মামলার আসামি এ বি এম জাকারিয়াকে আমতলী পৌর শহরের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেন, ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের একটি ধর্ষণ মামলায় স্কুল শিক্ষক এ বি এম জাকারিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশে দেন।

বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মুকিত মোল্লা বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের প্রতিবেদন পেলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement