১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ঘূর্ণিঝড় রেমাল : মির্জাগঞ্জে খোলা আকাশের নিচে চলছে পরীক্ষা

ঘূর্ণিঝড় রেমাল : মির্জাগঞ্জে খোলা আকাশের নিচে চলছে পরীক্ষা - ছবি : নয়া দিগন্ত

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে চন্দকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের চালা উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পরিক্ষা নেয়া হচ্ছে। প্রচণ্ড তাপদাহে এতে নানামুখী সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

তবে ঘরটি মেরামতের সহযোগিতা চেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল চন্দ্রকান্দা এলাকার শিশু-কিশোরদের প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে চন্দ্রকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমানে ৭০ জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করছে। এই বিদ্যালয়টিতে চারজন শিক্ষক কর্মরত আছেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, সম্প্রতি ঘটে যাওয় ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে বিদ্যালয়টির টিনশেড ঘরের টিনের চালা পুরো উড়ে যায়। যার ফলে শিক্ষার্থীদের সাময়িক পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলঘর ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে গেছে। প্রচণ্ড রোদ ও গরমে খোলা আকাশের নিচে পরীক্ষা দিতে আমাদের নানা সমস্যা হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের টিনসেট ঘরটি পুরোটাই ঝড়ে টিনের চালা উড়ে গেছে। কোনো রকমে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। ঘরটি মেরামতের জন্য টিও স্যারের কাছে সাহায্যের আবেদন করা হয়েছে। তবে বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণের জন্য টেন্ডারসহ সকল প্রক্রিয়া শেষ হলেও ঠিকাদার কাজ শুরু করছেন না।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে মির্জাগঞ্জে মাধ্যমিক ও মাদরাসা ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্ষতি হয়েছে ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং সম্পূর্ণ তিন বিদ্যালয় বিধ্বস্তসহ মোট ৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। যেসকল প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেসকল প্রতিষ্ঠান টিনের ছাউনি। টিনের ছাউনি ও বেড়া ঝড়ে উড়ে গিয়ে কিংবা গাছ উপড়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র ও মালামাল নষ্ট হয়েছে। এসকল প্রতিষ্ঠানগুলো যথা নিয়মে ক্লাশ শুরু কিছুটা সময় লাগবে বলে জানান প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: রিয়াজুর হক জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে মির্জাগঞ্জে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্তসহ প্রায় ৪১টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশ প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো টিনশেডের এবং অনেক পুরাতন। ১৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যালয়ের তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্ধ পেলেই ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যালয়গুলোর মেরামত কাজ শুরু করা হবে।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: তরিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, দ্রুত ওই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
বিজয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ গোয়ালন্দে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত কোম্পানীগঞ্জের দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, আহত অর্ধশতাধিক ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি অব্যাহত এবিসি নিউজের বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় দেড় কোটি ডলার পাচ্ছেন ট্রাম্প শীতের মধ্যে বৃষ্টির আভাস প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা জোরপূর্বক হিজাব খোলানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জনপ্রশাসন সংস্কারে বিএনপির প্রস্তাবে যা আছে কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ, প্রতিবেদন পাঠানো হলো রাষ্ট্রপতির কাছে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সিরিয়াতে ইসরাইলের ৬০ বার হামলা

সকল