ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব : ৫ দিন ধরে বিদ্যুৎহীন পাথরঘাটা
- এএসএম জসিম, পাথরঘাটা (বরগুনা)
- ৩০ মে ২০২৪, ১৯:১০
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবের ৫ দিনেও বরগুনার পাথরঘাটায় বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এ উপজেলায় প্রায় ৩ লাখ গ্রাহক গত ৫ দিন ধরে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। এতে উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ দিকে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে গাছ পরে বিদ্যুতের খুটি এবং তার ছিঁড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ পুনস্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই বিদ্যুৎ দেয়া হবে।
বুধবার পাথরঘাটা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়কের বিদ্যুতের খুটি এবং তারের ওপর গাছ পড়ে আছে। তার ছিঁড়ে ঝুলে সড়কের ওপর পড়ে রয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ও ভেঙে পড়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে পল্লীবিদ্যুতের লাইন লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ঝড়ের ক্ষতচিহ্ন। এ উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এ সকল গ্রহকরা সকলেই বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ পৌঁছতে বেশ কয়েকদিন লেগে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ আসেনি।
উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা এলাকার মনির হোসেন, সদর ইউনিয়নের নাসির এবং পৌরসভার ছরোয়ার মিয়া জানান, ঘূর্ণিঝড়ের আগের দিন থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়। আজ ৫ দিন হলেও আসেনি। তাদের বাড়ির কাছেই ঝড়ের দিন রাতে বেশ কয়েকটি বিদ্যুতের খুটি এবং তারের ওপর গাছ উপড়ে পড়ে। এই এলাকায় এখন পর্যন্ত পল্লীবিদ্যুতের কোনো লোক আসেনি।
পল্লীবিদ্যুতের পাথরঘাটা স্টেশনের দায়িত্বরত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: আব্দুস ছালাম জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে পাথরঘাটা উপজেলা প্রায় ১ হাজারের অধিক বিদ্যুতের খুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০টি সম্পূর্ণ ভেঙ্গেছে এবং ৪২টি হেলে পরেছে। পাশ্ববর্তী উপজেলা মঠবাড়িয়ায় ৩৩ কেবির মেইন লাই পাথরঘাটায় ডুকেছে। মঠবাড়িয়ার লাইন চালু হওয়ার পরে আস্তে আস্তে পাথরঘাটায় চালু হবে। গ্রাহককে দ্রুত বিদ্যুৎ দিতে আমাদের প্রচেষ্টার কোনো ঘাটতি নাই। শুধুমাত্র ভান্ডারিয়া থেকে মঠবাড়িয়া পর্যন্ত ৩৩ কেভি মেইন লাইন চালু উপযোগী করতে কাজ চলছে। এরপরে পাথরঘাটা মেইন ৩৩ কেভি লাইন চালু হবে। পর্যায়ক্রমে লাইন মেরামতসহ এ উপজেলার সকল স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে প্রায় ২০ দিন সময় লাগতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা