ইন্দুরকানীতে ৫ দিনেও আসেনি বিদ্যুৎ
খাবার পানি নেই, গ্যাস সিলিণ্ডার ও মোমবাতিরও সঙ্কট- নাসির উদ্দিন, ইন্দুরকানী (পিরোজপুর)
- ৩০ মে ২০২৪, ১৮:৪৮
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে খাবর পানি নাই, পাঁচ দিন ধরে বিদ্যুৎ নাই, মিলছে না গ্যাস সিলিণ্ডার এবং মোমবাতিও। পানি আর বিদ্যুৎবিহীন হয়ে এলাকাবাসী খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। একদিকে খাবার পানির তীব্র সঙ্কট অপরদিকে সন্ধ্যার পর অন্ধকারে এক ভূতুড়ে পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে এলাকাবসীকে।
হঠাৎ সঙ্কটট দেখা দেবার কারণে একটা মোমবাতিও পাওয়া যাচ্ছে না। অপরদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আত্মীয় স্বজনদের সাথে যোগাযোগ রাখাও সম্ভব হচ্ছে না।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের ইন্দুরকানী লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ঝড়ে হাজার হাজার গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের খুটি ভেঙে ও তার ছিড়ে তছনছ হয়ে গেছে। গত পাঁচ দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় বৈদ্যতিক মোটর বন্ধ থাকায় আবাসিক এলাকার পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে পানির অভাবে মানুষ দূর্বিসহ জীবন যাপন করছে। অপরদিকে ঝড়ের পড়ে প্রচণ্ড গরমে মানুষ হাসফাস করছে। বাজারে পর্যাপ্ত মোমবাতি না পাওয়ায় রাতের অন্ধকারে এক ভূতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
ইন্দুরকানী সদরের বাসিন্দা ছন্দা মণ্ডল জানান, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় বাতরুমের পানি টানতে টানতে কোমর ব্যথা হয়ে যাচ্ছে। অসুস্থ বাচ্চাদের সারারাত জেগে বাতাস করতে হয়। নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছি।’
সরেজমিনে ইন্দুরকানী উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ে হাজার হাজার গাছ উপড়ে পড়ায় রাস্তাঘাট আটকে আছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় প্রধান সড়কের কিছু গাছ অপসারণ করা হলেও যান চলাচলের মত পরিবেশ তৈরি হয়নি। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৫-৩০টি বিদ্যুতের খুটি ভেঙে গেছে।
ইন্দুরকানী উপজেলায় এমনিতেই বিশুদ্ধ খাবার পানির স্থায়ী সঙ্কট ছিল। অধিকাংশ মানুষ বৃষ্টির পানি ধরে রেখে সারা বছর পান করে থাকে। আবার কেউ নদী খাল ও পুকুরের পানি ফিটকারি দিয়ে পান করত। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঘরের মজুদ পানি এবং পুকুরের পানি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় খাবার পানির তীব্র সঙ্কটট দেখা দিয়েছে। দুর্গত এলাকায় খাবার পানির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে।
জরুরিভিত্তিতে মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা প্রয়োজন। অবশ্য উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের পক্ষ থেকে কিছু পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে।
পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বালিপাড়া অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ ইসলাম হাওলাদার জানান, বিদ্যুৎ লাইন দ্রুত চালু করার জন্য তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ ইন্দুরকানী সদরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যেতে পারে। সমগ্র উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে প্রায় ১৫ দিন লেগে যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা