১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বেতাগীতে পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে

বেতাগীতে পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে - ছবি : নয়া দিগন্ত

উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী পৌর শহরের নিম্নাঞ্চলসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে রয়েছে।

উপজেলার ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী। ঘরের ভাতরে ঢুকছে পানি। পানিবন্দী পরিবারগুলো বিপাকে রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক পানিবন্দী পরিবার রান্না করতে হবে অন্যের ঘরে। এসব পরিবার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের লোকজন শুকনো খাবার দিচ্ছেন।

পটুয়াখালীর পায়রা ও বেতাগীর বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে মাছ ও কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে কাঁচাঘর-বাড়ি, মসজিদ এবং উপজেলায় বিভিন্ন পয়েন্টের বেড়িবাঁধ। চারদিকে অন্ধকার আর জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ভাসছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দেড় লাখ মানুষ।

বেতাগী পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। উপজেলা বিভিন্নস্থানে পল্লী বিদ্যুতের ছয়টি খুঁটি গাছ উপড়ে পড়ে ভেঙে গেছে। এতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে।

বেতাগী পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের পরিচালক দূর্যোধন বালা বলেন, বেতাগী নয় বরগুনা জেলা থেকে পল্লী বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়েছে। ঝড় কমলে লাইন চেক করে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু করা হবে।

রেমালের তাণ্ডব লীলা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক আরো বেড়েছে। রাতে কয়েক ফুট পানির নিচে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পানিতে প্লাবিত হওয়ায় অনেক পরিবারের উনুনে রান্না করতে পারিনি।

বাসন্ডা গ্রামের সুধির হাওলাদার (৬৫) বলেন, সিডর ও আইলার মতো ঘূর্ণিঝড় দেখেছি কিন্তু জলোচ্ছ্বাসের মতো এত দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

একই গ্রামের বদনীখালী গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, বাহিরে শুধু থৈ থৈ করছে পানি। সিডরকেও হার মানিয়েছেন এ ঘূর্ণিঝড়কে। স্বাভাবিক জোয়াড়ের চেয়ে সাত থেকে আট ফুট জলোচ্ছ্বাসের মাছের ঘের আর কৃষি তো প্রায় শেষ। বেতাগী পৌরসভার ১, ২, ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দী। বদনীখালী, কালিকাবাড়ি, ভোড়া, আয়লা চান্দখালী এবং ঝিঙ্গাবাড়ি এলাকার নিম্নাঞ্চলেরর ২০ হাজার মানুষ পানিতে তলিয়ে রয়েছে।

পানিবন্দী পরিবারগুলো বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের লোকজন শুকনো খাবার দিচ্ছেন। উপজেলার ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী। ঘরের ভেতরে ঢুকছে পানি। পানিবন্দী পরিবারগুলো বিপাকে রয়েছে।

বেতাগী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার বিপুল সিকদার বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে তিন সহস্রাধিক লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। রোববার গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।’


আরো সংবাদ



premium cement