১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মির্জাগঞ্জে বেড়িবাঁধ ভেঙে অনন্ত ১৫ গ্রাম প্লাবিত

মির্জাগঞ্জে বেড়িবাঁধ ভেঙে অনন্ত ১৫ গ্রাম প্লাবিত - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পায়রা ও শ্রীমন্ত নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে)) রামপুর, সুন্দ্রা, পিপড়াখালী, দক্ষিণ মির্জাগঞ্জ, গোলখালী, চরখালী, ভয়াং, মেন্দিয়াবাদ ও হাজিখালী পায়রা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে অনন্ত ১৫টি গ্রাম তলিয়ে গেছে।

রোববার সকাল থেকেই একটানা বৃষ্টিতে ও জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ২০ সহাস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পরে এবং তলিয়ে গেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পানি বৃদ্ধি পেলে পায়রা ও শ্রীমন্ত নদীর বাঁধের বাইরে বসবাসরত পরিবারদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কাঁচাঘর-বাড়ি, মসজিদ এবং উপজেলায় বিভিন্ন পয়েন্টের বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। মির্জাগঞ্জ গ্রামে বসত ঘরে উপর গাছ চাপা পরে একজন আহত হয়েছে।

প্রায় ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যা দেখা দিয়েছে।

চারিদিকে অন্ধকার আর জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ভাসছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে উপজেলার ৪১ হাজার গ্রাহক। মির্জাগঞ্জ সাব স্টেশন পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মো: মেহেদী হাসান জানান, মির্জাগঞ্জ নয় পটুয়াখালী জেলা থেকে পল্লী বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়েছে। ঝড়-বাদল কমলে লাইন চেক করে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু করা হবে। পানিতে প্লাবিত হওয়ায় অনেক পরিবারের উনুনে আজ হাঁড়ি উঠেনি বলে জানান অনেকেই। উপজেলা সদরে নেই ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ। জোয়ারের পানি বেড়ে সুবিদখালী বাজার, কাকড়াবুনিয়া বাজার, মহিষকাটা বাজার, কাঁঠালতলী বাজারসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে পায়রাকুঞ্জ ফেরিঘাটের পন্টুনের গ্যাংওয়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী বাজারে তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট পানি হওয়ার কারণে প্রত‍্যেকটা ব্যাবসায়ীদের লাখ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

২ নম্বর মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীমন্ত নদীর পানির চাপে কয়েক জায়গায় বেড়িবাঁধ ছুটে গিয়ে পানি ঢুকে পরেছে, অনেক ঘর বাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে, গাছপালা পরে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পূর্ব সুবিদখালী, পশ্চিম সুবিদখালী টিএনটি রোডের বাধঁ ভেঙে পানি ঢুকে ক্ষতি হয়। ঝড়ের কারণে সড়কে গাছ পালা ভেঙে পড়ে। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী খান মো: আবু বকর সিদ্দিকী সরেজমিনে গিয়ে শ্রমিক দিয়ে গাছ কেটে যান চলাচল স্বাভাবিক করে দেন।

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মির্জাগঞ্জ উপজেলার দলনেতা মো: রাব্বি মল্লিক জানান, সকাল থেকেই বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা আটকে থাকা লোকজনদের উদ্ধার করা হয়েছে। রাস্তা পারাপারের জন্য ফ্রি গাড়ির ব্যবস্থা করেছি। আমরা সব সময়ে অসহায় মানুষের পাশে আছি।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: তরিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রভাবে উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন আশ্রয় নিয়েছে। চারটি মেডিক্যাল টিম ও একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement