০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬
`

রেমালের প্রভাবে প্লাবিত পিরোজপুরের বেশিভাগ এলাকা, রয়েছে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জোয়ারে পানিতে পিরোজপুরের বিভিন্ন উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। সোমবার সকালে জেলার বিভিন্ন উপজেলার অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে, গতকাল রোববার দুপুর থেকে শুরু হওয়া জোয়ারে পিরোজপুরের বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। কোনো কোনো জায়গায় পানির উচ্চতা ৪ থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত বেড়েছে। এতে শঙ্কায় আছেন স্থানীয়রা। জেলাজুড়ে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পিরোজপুর সদর উপজেলার নামাজপুর, ভাইজোড়া, শারিকতলা, পাড়েরহাটসহ জেলার কাউখালী, ইন্দুরকানী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া, নাজিরপুর ও নেছারাবাদসহ জেলার সব উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোকালয়ে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে অধিকাংশ বাড়ি-ঘর পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, গতকাল দুপুর থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকার ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। বেড়িবাঁধের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙা থাকায় সহজেই জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে এসব এলাকা।

নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম নুরে আলম সিদ্দিকী শাহিন বলেন, উপজেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন হাটবাজার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। পানিতে ভেসে গেছে মাছের ঘের। এছাড়াও এসব এলাকার শাকসবজিসহ নানা ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।

পিরোজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, জোয়ারের অতিরিক্ত পানিতে মাছ চাষিদের বেশিভাগ ঘের প্লাবিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় পিরোজপুরে ৫৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার আশ্রয় নিতে পারবেন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোল রুমসহ প্রতিটি উপজেলায় একটি টিম করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৬৫টি মেডিক্যাল টিম। তবে, আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের উপস্থিতি কম।

তিনি আরো জানান, জেলায় ২ লাখ ৬৩ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, প্রাথমিক পর্যায়ে ১৩ লাখ ৫০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৬১১ টন চাল ও নগদ ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগ পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর মেরামতের জন্য ৯৭ বান টিন রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা রেড ক্রিসেন্টের ২৫০ স্বেচ্ছাসেবক ও সিপিপির ২ হাজার ৪২০ জন সদস্যও প্রস্তুত আছে।


আরো সংবাদ



premium cement
‘দাবি আদায়ে হজ অ্যাজেন্সি মালিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’ মোরেলগঞ্জ ১১টি হারভেস্টার মেশিন লাপাত্তায় দুদকের অভিযান রমজান শেষ হওয়ার আগে আমদানি শুল্কে পরিবর্তন আনবে না সরকার ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছাত্রশিবিরের বিচারের দাবি খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রা : রাস্তায় মানুষের ঢল ফেনীতে মোমবাতির আগুনে পুড়ল ১৮ ঘর কেন কিছু মানুষ ভূমিকম্প টের পায় না সরিষাবাড়ীতে ট্রাক্টরচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু চট্টগ্রাম আদালতের নথি চুরির ঘটনায় বিচারাধীন মামলায় প্রভাব পড়বে না কল্যাণমুখী রাষ্ট্র বিনির্মাণে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে : রফিকুল ইসলাম ‘পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে অভিযান জোরদার করবে সরকার’

সকল