মির্জাগঞ্জে ভেঙে গেছে বেড়িবাঁধ
- মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
- ২৬ মে ২০২৪, ২১:০১
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে লোকালয়ে।
রোববার (২৬ মে) পায়রা নদীর ৪১/৭ নম্বর পোল্ডারের উপজেলার মেন্দিয়াবাদ মল্লিক বাড়ির সংলগ্ন ২০০ ফুট বেঁড়িবাধ ছুটে যায়। এতে হু হু করে নদীর পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়।
তবে রাতের জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে বলে ধারনা করা হয়। পানি বৃদ্ধি পেলে পায়রা ও শ্রীমন্ত নদীর বাঁধের বাইরে বসবাসরত পরিবারদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। রোববার সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে।
চরখালী গ্রামের মো: নজরুল জোমাদ্দার বলেন, ভাই আপনারা আমাদের জন্য কিছু করেন। সিডরের পরদিন চরখালী পায়রা নদীর পাড়ে ১০-১২ টি ঘরের চিহ্ন পর্যন্ত দেখা যায়নি। সাগরে ঘূর্ণিঝড় ঝড় সৃষ্টি হলেই আমাদের আতঙ্কে থাকতে হয় পরিবার পরিজন নিয়ে। আমাদের শক্ত একটা বেড়িবাঁধ নির্মানের ব্যবস্থা করেদিন। আমরা ত্রাণ চাই না শক্ত বেড়িবাঁধ চাই।
ওই দিন বিকেলে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তরিকুল ইসলাম, মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: ইলিয়াস মিয়া ও দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আনোয়ার হোসেন খানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন। চরখালী সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিতে আসা লোকদের শুকনো খাবার বিতরণ ও সবাইকে নিরাপদে থাকতে বলেন। উপজেলায় ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়। যাতে মানুষজন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ২ নম্বর মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের ভিকাখালী বাজারের পশ্চিম পাশে মো: বজলু হাওলাদারের ঘরের ওপরে একটি গাছ ভেঙে পড়ে। তবে কোনো লোকের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মির্জাগঞ্জ উপজেলার দলনেতা মো: রাব্বি মল্লিক জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব বৃদ্ধির পরে উপজেলার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সদস্যরা সচেতনতামূলক মাইকিং ও অনেক লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পেরেছি। গাছ পরে একটি ঘর ভেঙে গেছে। তবে পানি বৃদ্ধির কারণে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: তরিকুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রভাবে উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে দুই সহস্রাধিক লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে এবং তিন শতাধিক গরু-ছাগল আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। তাদেরকে শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। প্রস্তুত আছে চারটি মেডিক্যাল টিম। খোলা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা